জাতীয় ক্রিকেট লিগের নতুন মৌসুমের প্রথম বল। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খুলনার পেসার আল আমিন হোসেনের করা বলটি অফ স্টাম্পের অনেক বাইরে দিয়েই বেরিয়ে যাচ্ছিল। রাজশাহীর ওপেনার তানজিদ হাসান বলটিকে স্লিপ ও গালির মধ্য দিয়ে গলাতে চেয়ে ক্যাচ তুললেন তৃতীয় স্লিপে। মেহেদী হাসান ফেলে দিলেন সহজ ক্যাচটি। ম্যাচের প্রথম বলেই জীবন পাওয়া তানজিদ ফিরলেন ১৩২ বল পর, ১৪১ রান করে।
জাতীয় লিগের ২০২৪-২৫ মৌসুমের উদ্বোধনী দিনটা তানজিদের দল শেষ করেছে ৪ উইকেটে ৩৮৫ রান তুলে। অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ফরহাদ হোসেন ৯১ রানে ও শাখির হোসেন ৬১ রানে অপরাজিত থেকে শেষ করেছেন দিন।
২৬তম জাতীয় লিগের প্রথম দিনে পুরো খেলা হয়েছে শুধু সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামেই। বাজে আবহাওয়ার প্রভাবে আউটফিল্ড ভেজা থাকায় পাশের একাডেমি গ্রাউন্ডে দেরিতে শুরু হওয়া ঢাকা মহানগর ও বরিশাল বিভাগ ম্যাচে খেলা হয়েছে ৪৪ ওভার। মহানগর দিন শেষে করেছে ১ উইকেটে ১০২ রান তুলে। বৃষ্টির কারণে বগুড়ায় রংপুর-চট্টগ্রাম ও খুলনায় সিলেট-ঢাকা বিভাগ ম্যাচে একটি বলও হয়নি।
সিলেটে প্রথম বলেই ‘জীবন’ পাওয়া তানজিদ পেয়েছেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে চতুর্থ সেঞ্চুরি। দুই বছর আগে খুলনার বিপক্ষেই তৃতীয় সেঞ্চুরিটি করে ১২৬ রানে অপরাজিত ছিলেন জাতীয় দলের এই বাঁহাতি ওপেনার। ১৯টি চার ও ৪টি ছক্কা মারা তানজিদ আরেকটি বাউন্ডারি পেলেই এই সংস্করণে নিজের সর্বোচ্চ ইনিংসটা ছুঁয়ে ফেলতেন। ২০২১-২২ মৌসুমে জাতীয় লিগেই ঢাকা মহানগরের বিপক্ষে ১৪৫ রান করেছিলেন তানজিদ। সেটি ছিল প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তাঁর প্রথম সেঞ্চুরি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
রাজশাহী-খুলনা, সিলেট
রাজশাহী ১ম ইনিংস: ৯০ ওভারে ৩৮৫/৪ (তানজিদ ১৪১, ফরহাদ ৯১*, শাখির ৬১*, প্রিতম ৪৬; মেহেদী ২/১০৭, হালিম ১/৬০, আল আমিন ১/৮১)।
ঢাকা মহানগর-বরিশাল, সিলেট একাডেমি
ঢাকা মহানগর ১ম ইনিংস: ৪৪ ওভারে ১০২/১ (আনিসুল ৩৬, ইমরানউজ্জামান ৩৫*, আইচ ২৬*; রুয়েল ১/২৯)।