লিওনেল মেসির মতো প্রতিভার দ্যুতি ছড়ানোয় এস্তেভাও উইলিয়ানকে ডাকা হয় ‘মেসিনিও’ নামে। মাত্র ১০ বছর বয়সে তাঁর সঙ্গে পেশাদার চুক্তি করে বিশ্বখ্যাত ক্রীড়াসরঞ্জাম প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান নাইকি। এরই মধ্যে ব্রাজিলের হয়ে রেকর্ড গড়া অভিষেকও হয়ে গেছে তাঁর। ব্রাজিলের জার্সিতে পঞ্চম সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেক হয়েছে তাঁর।
পালমেইরাসের হয়ে খেলা এস্তেভাও এখন অপেক্ষায় আছেন আগামী মৌসুমে চেলসির হয়ে নতুন যাত্রা শুরুর। সম্প্রতি ১৭ বছর বয়সী ব্রাজিলীয় এই কিশোর ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘দ্য গার্ডিয়ান’র মুখোমুখি হয়ে কথা বলেছেন নানা বিষয় নিয়ে।
যেখানে তিনি মেসিকে আদর্শ মানার পাশাপাশি পরিশ্রমী রোনালদোর প্রতি মুগ্ধতার কথাও বলেছেন। পর্তুগিজ মহাতারকার কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার কথাও এ সময় বলেছেন তিনি।
মেসির বিশেষ টান থাকলেও রোনালদো-নেইমারের প্রতিও ভালো লাগার কথা জানিয়ে এস্তেভাও বলেছেন, ‘আমি নেইমার ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকেও পছন্দ করি। তবে মেসি ফুটবলে যা করেছেন, সে জন্য আমার কাছে তিনি দৃষ্টান্ত। যেভাবে তিনি খেলেন এবং মাঠের বাইরে তিনি যা করেন, সে জন্য আমি তাঁকে অনুসরণ করি। আর অবশ্যই, তাঁর মতো আমিও বাঁ পায়ে খেলি, এটাই একটা কারণ। কিছু মানুষ জন্মায় প্রতিভা নিয়ে। বাকিদের কঠোর পরিশ্রম করত হয়। যার ভালো উদাহরণ হচ্ছেন মেসি ও রোনালদো। মেসির প্রতিভা আছে, আর রোনালদোর চেষ্টা। প্রতিভা ও নিবেদনের জন্য আমি দুজনকেই অনুসরণ করি।’
আধুনিক ফুটবলে শুধু প্রতিভা নিয়ে টিকে থাকার সুযোগ নেই। পাশাপাশি কঠোর পরিশ্রম ও নিবেদন প্রয়োজন। সেই বাস্তবতা স্বীকার করে এস্তেভাও আরও বলেছেন, ‘আজকের দিনে ফুটবলে আপনার নিবেদন থাকতে হবে। আপনাকে সূচি মানতে হবে, অনুশীলন করতে হবে, ভ্রমণ করতে হবে এবং আপনার নিজের যত্ন নিতে হবে। নিবেদন ছাড়া আপনি কোথাও যেতে পারবেন না।’
ব্রাজিলিয়ান ফুটবলে প্রতিনিয়ত নিজেকে প্রমাণ করছেন এস্তেভাও। এ মৌসুমে ১১ গোলের পাশাপাশি করেছেন ৮টি সহায়তাও। তবে সামনের দিনগুলোতে এস্তেভাও নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারবেন কি না, তা জানতে আরও কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে।