বাংলাদেশের ভারত সফরে আছেন তামিম ইকবালও। জাতীয় দলে হয়তো নেই, কিন্তু ধারাভাষ্যকক্ষে তাঁকে দেখা যাচ্ছে। সুনীল গাভাস্কার-রবি শাস্ত্রীদের মতো তারকা ধারাভাষ্যকারদের পাশে তামিমকে বেশ লাগে দেখতে। বাংলাদেশি হিসেবে অনেকে গর্বও করতে পারেন। ধারাভাষ্যে সুনাম কুড়িয়ে তামিম সেই গর্বের পাল্লা আরও ভারী করছেন। তবে বাংলাদেশের ম্যাচের ফাঁকে অন্য কাজেও ব্যস্ত সময় কাটছে জাতীয় দলের বাইরে থাকা এ ওপেনারের। ভারতের ক্রীড়া সাময়িকী ‘স্পোর্টস্টার’কে যেমন সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। তামিম সেখানে কথা বলেছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের কোচ নিয়ে।
আমার মনে হয় না, প্রধান কোচ হওয়ার মতো যোগ্য কেউ এখন আছে বাংলাদেশে। এখন এমন দু-তিনজন আছেন, যাঁরা সহকারী কোচ হতে পারেন।
সাক্ষাৎকারে তামিম ইকবাল
গত এক দশকে ভারতের প্রধান কোচের পদে বাইরের কাউকে দেখা যায়নি। নিজেদের সাবেক খেলোয়াড়দের এই পদে বসিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। শুধু ভারত কেন, শ্রীলঙ্কাও কিছুদিন আগে তাদের কিংবদন্তি সনাৎ জয়াসুরিয়াকে জাতীয় দলের স্থায়ী কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। তামিমের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, প্রধান কোচ নিয়োগে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডেরও (বিসিবি) একই পথে হাঁটার কথা ভাবা উচিত কি না?
তামিম উত্তরে বলেছেন, ‘আমার মনে হয় না, প্রধান কোচ হওয়ার মতো যোগ্য কেউ এখন আছে বাংলাদেশে। এখন এমন দু-তিনজন আছেন, যাঁরা সহকারী কোচ হতে পারেন। কিন্তু আমার মনে হয় না, তাঁরা জাতীয় দলের প্রধান কোচ হওয়ার উপযুক্ত।’
তামিম এরপর কোচিং স্টাফ নিয়োগে নিজের চিন্তাধারা জানিয়েছেন, ‘বাংলাদেশ দলের কোচিং স্টাফে ৭০: ৩০ অনুপাত থাকা উচিত। প্রধান কোচ পদে একজন বিদেশি ও তাঁর সঙ্গে বড়জোর আরও দুজন বিদেশি কোচ থাকতে পারেন। সহকারী কোচ পদে বাকি ৭০ শতাংশ বাংলাদেশি নিয়োগ করা উচিত। তাতে স্থানীয় কোচদের বেড়ে ওঠায় সাহায্য হবে এবং একদিন তাঁরা প্রধান কোচ হতে পারবেন।’
বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ এখন শ্রীলঙ্কান চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। আগামী ফেব্রুয়ারিতে এই পদে তাঁর বর্তমান মেয়াদ পূর্ণ হবে। তবে ফারুক আহমেদ বিসিবি সভাপতি হওয়ার পর হাথুরুসিংহেকে কোচ পদে রাখা হবে কি না, এই আলোচনা হচ্ছে। যে আলোচনায় ইন্ধন জুগিয়েছে ফারুক আহমেদের কথাও। সেই সূত্র ধরেই হয়তো তামিমের কাছে চাওয়া হয়েছে, বাংলাদেশ দ্রুতই নতুন কোচ নিয়োগ দিতে পারে—এমন গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। বাংলাদেশ দলের নতুন কোচ কেমন হওয়া উচিত?
রায়ান টেন ডেসকাট কি ক্রিকেটে খুব বড় নাম? তবু সে কিন্তু ভারতের কোচিং স্টাফের অংশ। আমাদের তার মতো মানুষ প্রয়োজন, যে পর্দার আড়ালে কাজ করবে। অভিষেক নায়ার কি বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের একজন? বিসিসিআই কেন তাহলে তাকে সহকারী কোচ হিসেবে পেতে চেয়েছে? কারণ, দলে ভালো কিছু যোগ করার মতো সামর্থ্য তার আছে।
সাক্ষাৎকারে তামিম ইকবাল