২০১৮ সালের পর প্রথমবার ইনিংস ব্যবধানে হারের শঙ্কা নিয়ে গলে দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনটা শেষ করেছে নিউজিল্যান্ড। বৃষ্টিতে আগেভাগেই শেষে হওয়া দিনে দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট ১৯৯ রান করেছে নিউজিল্যান্ড। শ্রীলঙ্কাকে আবারও ব্যাটিংয়ে নামাতে আরও ৩১৫ রান দরকার সফরকারীদের। কাল কঠিন সেই কাজটা করতে নামবেন অবিচ্ছিন্ন ষষ্ঠ উইকেটে ৭৮ রান যোগ করা টম ব্লান্ডেল (৪৭*) ও গ্লেন ফিলিপস (৩২*)।
গতকাল ৬০২ রানে ইনিংস ঘোষণা করেছিল শ্রীলঙ্কা। নিউজিল্যান্ড দিনটা শেষ করেছিল ২ উইকেটে ২২ রান নিয়ে। আজ লাঞ্চের আগেই আর মাত্র ৬৬ রান যোগ করেই ৮৮ রানে অলআউট নিউজিল্যান্ড। টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই প্রথম ১০০ রানের কমে অলআউট হলো কিউইরা। শ্রীলঙ্কা এর আগে নিউজিল্যান্ডকে সর্বনিম্ন ১০২ রানে অলআউট করেছিল ১৯৯২ সালে।
প্রতিপক্ষকে ৮৮ রানে গুটিয়ে দিয়ে ৫১৪ রানের লিড পায় লঙ্কানরা। টেস্টে ইতিহাসে প্রথম ইনিংসে এটি পঞ্চম সর্বোচ্চ লিড। ১৯৩৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সর্বোচ্চ ৭০২ রানের লিড পেয়েছিল ইংল্যান্ড।
নিউজিল্যান্ডকে এমন রেকর্ডে চাপা দেওয়ার পর নিজেরা আবারও ব্যাটিংয়ের নামেনি শ্রীলঙ্কা। তাতে ২০২৪ সালে প্রথমবার কোনো দলকে ফলো অন করতে দেখে টেস্ট ক্রিকেট।
ফলো করতে নেমে নিউজিল্যান্ড প্রথম ওভারে কোনো রান করার আগেই হারিয়ে ফেলে ওপেনার টম ল্যাথামকে। অভিষিক্ত অফ স্পিনার নিশান পেইরিস নিয়েছেন উইকেটটি। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে ৯৭ রান যোগ করেন ডেভন কনওয়ে ও কেইন উইলিয়ামসন। ৪ ওভারের মধ্যে ১৩ রানের ব্যবধানে বিদায় নেন দুজন। কনওয়ে ৬২ বলে ৬১ ও উইলিয়ামসন ৫৮ বলে করেন ৪৬ রান।
এই দুজনের বিদায়ের পর ড্যারিল মিচেল ও রাচিন রবীন্দ্রও ফেরেন অল্পতে। তাতে ৮ ওভারের ব্যবধানেই ১ উইকেটে ৯৭ থেকে ৫ উইকেটে ১২১ হয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। এরপর ব্লান্ডেল ও ফিলিপসের প্রতিরোধ। টিকে থাকতে পাল্টা আক্রমণই বেছে নেন দুজন। উইকেটকিপার ব্লান্ডেল ৪৭ করেছেন ৫০ বলে, ফিলিপস ৪১ বলে করেছেন ৩২ রান। দুজনেই মেরেছেন ২টি করে ছক্কা।
নিউজিল্যান্ড ২০১৮ সালের নভেম্বরে দুবাই টেস্টে পাকিস্তানের কাছে ইনিংস ও ১৬ রানে হেরেছিল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
শ্রীলঙ্কা: ৬০২/৫ ডি.। নিউজিল্যান্ড: ৩৯.৫ ওভারে ৮৮ (স্যান্টনার ২৯; জয়াসুরিয়া ৬/৪২, পেইরিস ৩/৩৩) ও ৪১ ওভারে ১৯৯/৫ (কনওয়ে ৬১, ব্লান্ডেল ৪৭*, উইলিয়ামসন ৪৬, ফিলিপস ৩২*; পেইরিস ৩/৯১)। (তৃতীয় দিন শেষে)