কানপুর টেস্টে আজ প্রথম দিনে বাংলাদেশ ওপেনার সাদমান ইসলাম এলবিডব্লু হন। রিভিউ নিয়ে তাঁর উইকেটটি তুলে নেয় ভারত। সাদমানের আউটটি নিয়ে ধারাভাষ্যকক্ষে হালকা তর্কও হয়ে গেছে তামিম ইকবাল ও রবি শাস্ত্রীর মধ্যে।
বাংলাদেশ ইনিংসের ১৩তম ওভারে আকাশ দীপের লেংথ বল একটু লাফিয়ে খেলতে গিয়ে ব্যাটে পাননি সাদমান। বল তাঁর প্যাডে লাগার সঙ্গে সঙ্গেই আউটের আবেদন করেন ভারতের পেসার আকাশ দীপ। বাকি ফিল্ডাররাও আবেদন করেন। আম্পায়ার আউট দেননি।
ভেবেছিলাম বলটা লেগ স্টাম্প দিয়ে বের হয়ে গেছে। কিন্তু ডিআরএস অন্য সিদ্ধান্ত দিয়েছে।
তামিম ইকবাল, কানপুর টেস্টের প্রথম দিনে ধারাভাষ্যকক্ষে
প্রাথমিকভাবে দেখে মনে হয়েছে, বল লেগ স্টাম্পের পাশ দিয়ে বের হয়ে যেত। কিন্তু ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা রিভিউ নেন। টিভি রিপ্লে দেখেও মনে হয়েছে বল লেগ স্টাম্পের পাশ দিয়ে বের হয়ে যেত। কিন্তু বল–ট্র্যাকিং প্রযুক্তিতে দেখা যায় বলটা লেগ স্টাম্পেই আঘাত হানত। তৃতীয় আম্পায়ার আউটের সিদ্ধান্ত দেওয়ায় মাঠের আম্পায়ার রিচার্ড কেটেলবরো নিজের সিদ্ধান্ত পাল্টে সাদমানকে আউট ঘোষণা করেন।
ধারাভাষ্যকক্ষে রবি শাস্ত্রী তামিমের এ কথায় দ্বিমত পোষণ করেন। আরেক ধারাভাষ্যকার দিনেশ কার্তিক এই আলোচনার কিছুক্ষণ আগে ক্যামেরার অ্যাঙ্গেলের কারণে দৃষ্টিবিভ্রম হওয়া নিয়ে কথা বলেন। শাস্ত্রী সেই প্রসঙ্গ টেনে তামিমকে বুঝিয়ে বলেন, ‘ডিকে (দিনেশ কার্তিক) ক্যামেরার অ্যাঙ্গেল নিয়ে বলেছে। এটা (বল) সব সময় (ক্যামেরা অ্যাঙ্গেলে) একদম সোজা থাকে না। তাই মনে হতেই পারে বলটা বেরিয়ে যেত। কানপুরে বাউন্স নিয়ে প্রশ্ন ওঠার সুযোগ নেই। ভারতীয় দলও বিস্মিত হয়েছে। শুধু একজনই বিশ্বাস করেছিল এটা আউট, আর সেই ব্যক্তিটি আকাশ দীপ।’
তৃতীয় আম্পায়ার সাদমানকে আউট ঘোষণা করার পর ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মার প্রতিক্রিয়াই বলে দিচ্ছিল, তিনিও ভাবেননি এটা হতে পারে। বিস্ময়ে হাঁ হয়ে যান রোহিত।