চিপকের এম এ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে প্রথম দিনের শুরুটা ছিল বাংলাদেশের। বিশেষ করে হাসান মাহমুদের বোলিংয়ের সামনে অসহায় দেখাচ্ছিল ভারতের টপঅর্ডারকে। বাংলাদেশের বোলারদের তোপে একপর্যায়ে ১৪৪ রানে ৬ উইকেট হারায় ভারত।
সেখান থেকে রবীন্দ্র জাদেজা এবং রবীচন্দন অশ্বিনের ১৯৯ রানের জুটিতে অলআউট হওয়ার আগে ৩৭৬ রান করে ভারত। এই টেস্টে দুই দিনেই দেখা মিলেছে অনেক রেকর্ড ও মাইলফলকের। সংখ্যায় সংখ্যায় সেই রেকর্ডগুলোর উল্লেখযোগ্য কিছু তুলে ধরা হলো এখানে। টেস্টে ৮ নম্বরে ব্যাট করে ৪টি সেঞ্চুরি করেছেন অশ্বিন। এই পজিশন বা তার চেয়ে নিচে ব্যাট করে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি করার দিক থেকে এখন দুই নম্বরে আছেন এ স্পিনিং অলরাউন্ডার। এ তালিকায় ৫ সেঞ্চুরি নিয়ে শীর্ষে আছেন নিউজিল্যান্ডের ড্যানিয়েল ভেট্টোরি।
টেস্টে রান ১৫০–এর নিচে ৬ উইকেট হারানোর পর সপ্তম উইকেটে জাদেজা–অশ্বিনের ১৯৯ রানের চেয়ে বেশি জুটি আছে ৫টি। তবে এ দুজনের জুটিটি ভারতের সর্বোচ্চ। এর আগে এই উইকেটে সর্বোচ্চ জুটিটি ছিল দিলীপ সারদেশাই ও একনাথ সোলকারের। ১৯৭১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ভারত ৭০ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর ১৮৬ রানের জুটি গড়েছিরেন তাঁরা।
টেস্টে ম্যাচের প্রথম দিনে ৮ বা তার নিচের পজিশনে ব্যাট করে সেঞ্চুরি করেছেন অশ্বিনসহ ১০ জন।
আরও পড়ুন
১৯৮৬ সালের পর হাসান মাহমুদসহ তিনজন ফাস্ট বোলার চিপকে ৫ বা তার বেশি উইকেট পেয়েছেন। ১৯৯৯ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৬ উইকেট পেয়েছিলেন ভারতের সাবেক পেসার ভেঙ্কটেশ প্রসাদ। এরপর ভারতের বিপক্ষে ২০১৩ সালে ৫ উইকেট পেয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার জেমস প্যাটিনসন।
চিপকে প্রথম ইনিংসের ভারতের ৯ ব্যাটসম্যানকে আউট করেছেন বাংলাদেশের পেসাররা। যা কি না ২০১২ সালের পর থেকে ভারতের বিপক্ষে কোনো অতিথি দলের পেসারদের সর্বোচ্চ উইকেট প্রাপ্তি। ২০১২ সালে বেঙ্গালুরুতে প্রথম ইনিংসে ভারতের সব উইকেট নেন নিউজিল্যান্ডের ফাস্ট বোলাররা।
বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতের সব ব্যাটসম্যান আউট হয়েছেন ক্যাচ দিয়ে। ঘরের মাঠে টেস্টে এক ইনিংসে ভারতের সব ব্যাটসম্যানের ক্যাচ দিয়ে আউট হওয়ার এটি চতুর্থ ঘটনা। এই চার ঘটনার দুটিই আবার ঘটেছে চিপকে। আগেরটি ছিল ২০২১ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।