ভারতের বিপক্ষে টেস্ট জয় এখনো অধরা বাংলাদেশের। ১৩ টেস্ট খেলে ১১ টিতেই হার। এর মধ্যে পাঁচটিতে হার ইনিংস ব্যবধানে। ২০০৭ সালে চট্টগ্রামে ও ২০১৫ সালে ফতুল্লায় যে দুটি টেস্ট ড্র করেছে, তাতে ছিল বৃষ্টির আশীর্বাদ।
কিন্তু কখনো হারাতে পারেনি বলে যে এবারও পারবে না বাংলাদেশ, এমন তো কোনো কথা নেই। মাসখানেক আগে টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষেও বাংলাদেশের পরিসংখ্যান এমনই ছিল। ১৩ টেস্ট খেলে ১২টিতে হার, একটি ড্র। সেই বাংলাদেশ সর্বশেষ পাকিস্তান সফরে সিরিজ জিতেছে দাপটের সঙ্গে, পাকিস্তানকে ধবলধোলাই করেছে ২-০ ব্যবধানে।
ভারতের বিপক্ষেও কি তাহলে এবার নতুন কিছু দেখা যাবে? উত্তরটা সময়ই দেবে। তবে এই বাংলাদেশকে যে আগের মতো হালকাভাবে নেওয়া যাবে না, তা এরই মধ্যে বলে দিয়েছেন কিংবদন্তি ভারতীয় ব্যাটসম্যান সুনীল গাভাস্কার।
এই বাংলাদেশের অন্য রকম কিছু করার সামর্থ্য আছে বলে মনে করেন ধারাভাষ্যকার ও ক্রিকেট বিশ্লেষক হার্শা ভোগলেও। এবার বাংলাদেশের ড্রেসিং রুমে কান পাতলেও শোনা যাবে এক বাড়তি আত্মবিশ্বাসের সুর।
গাভাস্কারদের সতর্কবার্তা, বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাস নিয়ে সংবাদমাধ্যমেও অনেক লেখালেখি হচ্ছে। খুব স্বাভাবিকভাবেই আজ চেন্নাইয়ে ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মার সংবাদ সম্মেলনেও প্রসঙ্গটা এসেছে। বাংলাদেশ দল ভারতকে এবার হারিয়ে দিতে পারে, এটা কতটুকু বাস্তব?
রোহিত অবশ্য উত্তরটা দিয়েছেন হালকা চালেই, তবে এর মধ্যেও আছে এক প্রচ্ছন্ন হুমকি, ‘সবাই ভারতকে হারাতে চায়। ভারতকে হারিয়ে সবাই মজা পায়। ঠিক আছে, বাংলাদেশকে কথা বলতে দিন। ওদের মজা নিতে দিন। ইংল্যান্ডও তো আমাদের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের আগে অনেক কথা বলেছিল। কিন্তু আমাদের কাজ মাঠের পারফরম্যান্স দিয়ে জবাব দেওয়া। যখন ইংল্যান্ড এসেছিল, সংবাদ সম্মেলনে অনেক কথা হচ্ছিল। কিন্তু আমরা কথা শুনে মনোযোগ হারাইনি, নিজেদের খেলায় মনোযোগ দিয়েছিলাম। এবারও আমাদের একই লক্ষ্য—ভালো ক্রিকেট খেলা এবং ম্যাচ জেতা।’