বাংলাদেশকে বেশ কষ্টই করতে হলো রানের জন্য—৫০ ওভারের ম্যাচে তারা ডট বলই খেলেছে ১৮১টি। এতেই হয়তো স্পষ্ট, বাংলাদেশের রানের জন্য হাপিত্যেশ। শেষ পর্যন্ত পুরো ৫০ ওভার খেললেও ৯ উইকেট হারিয়ে ২৩৬ রানের বেশি করতে পারেনি নাজমুল হোসেনের দল।
এ রান তাড়ায় নেমে নিউজিল্যান্ড জয় পেয়েছে ২৩ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখে। এটি যে ব্যাটিং উইকেট ছিল, তা স্বীকার করেছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেনও।
পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে নাজমুল বলেন, ‘প্রথম ৮–৯ ওভারে আমরা সত্যিই ভালো ব্যাট করেছি। কিন্তু মাঝের ওভারগুলোতে আমরা কয়েকটা উইকেট হারিয়েছি। এ ধরনের উইকেটে আমাদের আরও ভালো ব্যাট করার দরকার ছিল। এটা বেশ ভালো উইকেট ব্যাট করার জন্য।’
শুরুটা বেশ ভালোই ছিল বাংলাদেশের। পাওয়ার–প্লের ১০ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৫৮ রান করে তারা। এরপরই শুরু হয় আসা–যাওয়ার মিছিল। এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে সেই দৃশ্য দেখা অধিনায়ক নাজমুল থামেন ১১০ বলে ৭৭ রান করে।
হঠাৎ এমন ছন্দপতনে কারণ খুঁজছেন বাংলাদেশ অধিনায়কও, ‘আমাদের শুধু দুটি বড় জুটি দরকার ছিল। কিন্তু আমরা যেভাবে ব্যাট করেছি, তা হতাশাজনক। বিশেষত প্রথম ১০ ওভারে আমরা যা করেছি, তা চালিয়ে যাওয়া দরকার ছিল।’
ভারতের পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও হারের পর চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে বাংলাদেশের। ২৭ ফেব্রুয়ারি স্বাগতিক পাকিস্তানের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ এখন শুধুই আনুষ্ঠানিকতা। কারণ, দুই দলের কারও সামনেই সুযোগ নেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনাল খেলার।
এ নিয়ে অধিনায়ক নাজমুল বলেন, ‘অবশ্যই আমি মনে করি, সেটি (পাকিস্তান) গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। আমরা যদি ভালোভাবে শেষ করতে পারি, তাহলে অনেক আত্মবিশ্বাস দেবে। তবে ব্যাটিং ও ফিল্ডিং বিভাগে আমাদের অনেক উন্নতি প্রয়োজন। আশা করি, পরের ম্যাচে ব্যাটিং ও ফিল্ডিং আরও ভালো হবে।’