সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে আগামীকাল দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল। এর আগে আজ বাফুফেতে সংবাদ সম্মেলনে দলের প্রস্তুতির পাশাপাশি নারী ফুটবলের সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে কথা বলেন কোচ পিটার বাটলার।
যেখানে জাতীয় দলের নতুন অধিনায়ক আফঈদা খন্দকারের প্রশংসা করে তাঁকেই দীর্ঘ সময়ের জন্য নেতৃত্বের ভূমিকায় দেখার ইচ্ছার কথা বলেন এই ইংলিশ কোচ।
সর্বশেষ জাতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন সাবিনা খাতুন। তাঁর নেতৃত্বে টানা দুবার নারী সাফ জেতে বাংলাদেশ। কিন্তু বাটলারের সঙ্গে বিদ্রোহের ঘোষণা দেওয়া ১৮ ফুটবলারের নেতৃত্বে ছিলেন সাবিনা। বিদ্রোহী সেই ১৮ জনের কাউকেই আরব আমিরাত সফরের দলে রাখেননি বাটলার। বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব পেয়েছেন আফঈদা। তাঁকে নিয়ে বাটলার বলেন, ‘এটা পুরোপুরি নতুন একটা দল। আমরা নতুন একজন অধিনায়ক (আফঈদা) পেয়েছি৷ আমি মনে করি, সে দীর্ঘ সময়ের জন্য অধিনায়ক হওয়ার যোগ্যতা রাখে এবং বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার সব ধরনের গুণ তার আছে।’
কোচের এমন চাওয়াই বলে দিচ্ছে, অধিনায়ক হিসেবে সাবিনাকে আর প্রয়োজন নেই! বাফুফের সঙ্গে বাটলারের চুক্তি ২০২৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এ সময় পর্যন্ত হয়তো আফঈদাকেই দেখা যাবে নারী দলের অধিনায়কের আসনে। সংবাদ সম্মেলনে ১৮ বিদ্রোহীর ফিরে আসা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। বাটলার এ বিষয়ে বলেন, ‘আমি ইংলিশ ফুটবলের প্রতিটি স্তরে খেলেছি। আপাতত পেছনে আর ফিরতে চাই না। তারা ফিরবে কি ফিরবে না, সেটা তাদের ব্যাপার। তাদের জন্য দরজা সব সময়ই খোলা থাকবে।’
সূচি অনুযায়ী ২৬ ফেব্রুয়ারি আরব আমিরাতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ২ মার্চ একই দলের বিপক্ষে স্বপ্না-রিপাদের দ্বিতীয় ম্যাচ। ধারেভারে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে আরব আমিরাত। র্যাঙ্কিংয়েও পার্থক্য আছে। আরব আমিরাত আছে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের ১১৬ নম্বরে, আর বাংলাদেশ ১৩২ নম্বরে। যদিও অধিনায়ক আফঈদা বলছেন, তাঁদের প্রস্তুতি ভালো। ইতিবাচক ফলাফল নিয়েই দেশে ফিরতে চান, ‘আমাদের ফরোয়ার্ড লাইন, মিডফিল্ড, এমনকি ডিফেন্সও ভালো। আশা করি, ভালো একটা ফল নিয়েই দেশে ফিরতে পারব।’
এই সফরে সিনিয়র ১৮ জনের অভাবও অনুভব করছেন না আফঈদা। সাবিনাদের চেয়ে কম ম্যাচ খেললেও টানা অনুশীলনে থাকায় ঘাটতিটা বোধ হয় খুব একটা নেই। এমন কথাই বললেন নতুন অধিনায়ক, ‘আমি তাঁদের (সিনিয়র ফুটবলার) অভাব অনুভব করছি না। কারণ, আমি তাঁদের সঙ্গে আগেও খেলেছি। অনূর্ধ্ব-১৯, অনূর্ধ্ব-২০–এ খেলেছি। সিনিয়ররা যে ধাপে ধাপে অনুশীলন করেছিলেন, আমরাও সেই ধাপে ধাপে অনুশীলন করেছি। আমাদের সবারই একই রকম অভিজ্ঞতা নেই, একটু কমবেশি হতে পারে। তাঁরা অনেকগুলো ম্যাচ খেলেছেন, আমরা হয়তো সেই তুলনায় কম ম্যাচ খেলেছি। কিন্তু তাঁদের মতোই অনুশীলন করেছি। সেদিক থেকে আমরা একই ধারায় খেলি।’