দ্যা নিউ ভিশন

ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৫ ০৩:০১

চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশ: সবচেয়ে গৌরবের গল্পটা এখানেই

২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অবিস্মরণীয় জয়ের পর মাশরাফি ও মাহমুদউল্লাহর উচ্ছ্বাস

ইতিহাসের প্রথম চ্যাম্পিয়নস ট্রফিটা হয়েছিল বাংলাদেশেই। উইলস ইন্টারন্যাশনাল কাপ, এই পোশাকি নামের টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ অবশ্য দর্শক হয়েই ছিল। ঘরের মাঠে সুযোগ না হলেও ২০০০ সালে কেনিয়ায় দ্বিতীয় আসরে প্রথমবারের মতো খেলতে নামে বাংলাদেশ। ২০০৬ সাল পর্যন্ত টানা চারটি টুর্নামেন্ট খেলা বাংলাদেশ সুযোগ পায়নি ২০০৯ ও ২০১৩ সালে। ২০১৭ সালে ফিরেই সেমিফাইনালে ওঠা বাংলাদেশ এবার খেলছে ষষ্ঠ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি।

২০০০

এই টুর্নামেন্টে প্রথমবার বাংলাদেশ। কেনিয়ার নাইরোবিতে সেই আসরটি ছিল নকআউট কাঠামোর, এক ম্যাচ হারলেই বিদায়! প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালের প্রতিপক্ষ ছিল ইংল্যান্ড। ৬৪০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে কেনিয়া যাওয়া বাংলাদেশ এক ম্যাচ খেলেই বিদায় নেয়। বাংলাদেশ করেছিল ২৩২। আঙুলের চোটে মাঝে প্রায় ১৬ ওভার মাঠের বাইরে থাকা ওপেনার জাভেদ ওমর শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৬৩ রানে। অধিনায়ক নাসের হুসেইনের ৯৫ আর ওপেনার অ্যালেক স্টুয়ার্টের অপরাজিত ৮৭ রানের ইনিংসে ভর করে ইংলিশরা ৮ উইকেট হাতে রেখে লক্ষ্য পৌঁছে যায়।

২০০২

টুর্নামেন্টের ফরম্যাট বদলে যায় এবার। পুল ১-এ (গ্রুপ পর্ব) বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠে দুই পরাশক্তির কাছেই স্রেফ উড়ে যায় বাংলাদেশ। গ্লেন ম্যাকগ্রার নিখুঁত লাইন-লেংথ, জেসন গিলেস্পি ও ব্রেট লির গতি আর শেন ওয়ার্নের ঘূর্ণিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১২৯ রানে গুটিয়ে যায় খালেদ মাসুদের দল। সর্বোচ্চ ৪৫ রান করে অলক কাপালি। ১৭৬ বল ও ৯ উইকেট হাতে রেখেই জিতে যায় অস্ট্রেলিয়া।

পরের ম্যাচের ব্যাটিং–ব্যর্থতা আগেরটিকেও ছাড়িয়ে গেছে। নিউজিল্যান্ড করেছিল ২৪৪ রান। রান তাড়া করতে নেমে শেন বন্ডের তোপে পড়েন ব্যাটসম্যানরা। শেন বন্ডের তোপে ১৯ রানে ৫ উইকেট বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত অলআউট ৭৭ রানে। ১৬৭ রানে হার টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে ফেলে বাংলাদেশকে।

২০০৪

এই আসরের গল্পও এক, শুধু প্রতিপক্ষ আর ভেন্যু আলাদা। ‘বি’ গ্রুপে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে বিশাল ব্যবধানে হেরে শূন্য হাতে বিদায়। তারপরও এই টুর্নামেন্টকে মনে রাখা হয়েছে অন্য কারণে। নিয়মিত অধিনায়ক হাবিবুল বাশার চোটে ছিটকে পড়ায় অধিনায়ক হয়ে যান রাজিন সালেহ। এজবাস্টনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টস করতে নেমেই ইতিহাস গড়েন রাজিন, হয়ে যান ওয়ানডে ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ অধিনায়ক (২০ বছর ২৯৭ দিন)। ২০১৮ সালে সেই রেকর্ড ভেঙে দেন আফগানিস্তানের রশিদ খান (১৯ বছর ১৬৫ দিন)।

তবে মাঠে যা হয়েছে, বাংলাদেশের সমর্থকেরা নিশ্চয় তা মনে করতে চাইবেন না। চার্ল ল্যাঙ্গাভেল্ট ও মাখায়া এনটিনির গতি এবং নিকি বোয়ের ঘূর্ণিতে ৯৩ রানেই শেষ বাংলাদেশ। সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন নাফিস ইকবাল। গ্রায়েম স্মিথ, হার্শেল গিবস, জ্যাক ক্যালিসদের নিয়ে গড়া প্রোটিয়া ব্যাটিং লাইনআপ লক্ষ্যে পৌঁছায় মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে, ১৯৩ বল বাকি রেখে।

Related News

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

সর্বশেষ