দ্যা নিউ ভিশন

ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৫ ০৩:১১

ডট বলের পর ডট বল খেলে বড় হার পাকিস্তানের

রান তাড়ায় পাকিস্তানের ধাক্কার শুরু সৌদ শাকিলকে হারিয়ে।

৭ ওভার শেষে ১ উইকেটে ১৪ রান, ১০ ওভার শেষে ২ উইকেটে ২২।

নিউজিল্যান্ডের ৫ উইকেটে ৩২০ রান তাড়া করতে নেমে এই ছিল পাকিস্তানের শুরু। এমন নড়বড়ে শুরুর পর মাঝের সময়টাতেও আর রানের গতি বাড়ানো যায়নি। বরং প্রথম ২৫ ওভারের মধ্যে ১০৪টি ডট বল খেলেছে পাকিস্তান।

তিন শর বেশি রানের পেছনে ছুটতে গিয়ে এত বেশি ডটে ম্যাচের ফল যেমনটা হওয়ার, শেষ পর্যন্ত তেমনটাই হয়েছে। ৪৭.২ ওভারে ২৬০ রানে থেমেছে পাকিস্তান। ৬০ রানের বড় জয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শুরু করেছে নিউজিল্যান্ড।

পাকিস্তান রান তাড়ায় নেমেছেই পরিকল্পনার বাইরে সৌদ শাকিলকে ওপেনিংয়ে পাঠিয়ে। ম্যাচের শুরুতেই ফিল্ডিংয়ে ব্যথা পাওয়ায় দুই দফায় মোট ৩০ ওভার মাঠের বাইরে ছিলেন ফখর জামান। এ কারণে পাকিস্তান ইনিংসের প্রথম ২০ মিনিটের মধ্যে ব্যাটিংয়ে নামার সুযোগ ছিল না তাঁর।

কিন্তু ওই ২০ মিনিটের মধ্যেই শাকিল আউট হয়ে যাওয়ায় তিনেও নামা হয়নি ফখরের। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানের শুরুতে নামতে না পারা আর শাকিলকে হারানোর পর মোহাম্মদ রিজওয়ানের ধীর শুরু পাকিস্তানকে চাপে ফেলে দেয় এতটাই যে দশম ওভারের শেষ বলে গ্লেন ফিলিপসের বাজপাখি হয়ে ওঠা এক ক্যাচে রিজওয়ান যখন আউট হন, পাকিস্তানের রান ২ উইকেটে ২২।

এরপর পিঠের সমস্যা নিয়ে ফখরও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ২১তম ওভারে আউট হয়ে ফেরেন দলকে ৬৯ রানে। এরপর বাবর আজম ও আগা সালমান জুটিই পাকিস্তানকে যা একটু আশা জোগায়।

বাবর–সালমানের চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৫৯ বলে ওঠে ৫৮ রান। এর মধ্যে ২৮ বলে ৪২–ই সালমানের। অর্থাৎ একপ্রান্ত আগলে রাখলেও বাবর রানের চেয়ে বল খেলেছেন বেশি।

তবে উইকেটে থিতু হয়ে ফিফটি করলেও বাবর শেষ পর্যন্ত বেশি দূর এগোতে পারেননি। নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনারের বলে উইলিয়ামসনের হাতে ক্যাচ দেন ৯০ বলে ৬৪ রানে।

১৫৩ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারানো পাকিস্তান এরপরও যে আড়াই শ পেরিয়েছে, তাতে মূল অবদান খুশদিল শাহর। সাতে নামা এই বাঁহাতি ৪৯ বলে খেলেন ৬৯ রানের ইনিংস। তবে দলের হার তাতে আটকাতে পারেননি। ২৮৪ বলের মধ্যে ১৬২টি ডট খেলে পাকিস্তান ম্যাচ হারে বড় ব্যবধানে।

এর আগে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নামা নিউজিল্যান্ডকে বড় সংগ্রহ এনে দেন উইল ইয়াং ও টম ল্যাথাম। ৭৩ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর এ দুজন চতুর্থ উইকেটে গড়েন ১১৮ রানের জুটি।

ইয়াং ১১৩ বলে ১০৭ রান করে ফিরলেও ল্যাথাম অপরাজিত ছিলেন ১০৪ বলে ১১৮ রানে। তবে নিউজিল্যান্ডের রান ৩০০ ছাড়ানোর পেছনে শেষ দিকে বড় অবদান রাখেন গ্লেন ফিলিপস। ৫০তম ওভারে আউট হওয়ার আগে ৩ চার ৪ ছক্কায় ৩৯ বলে ৬১ রান করেন এই ডানহাতি। শুধু শেষ ১০ ওভারেই ১১৩ রান নিউজিল্যান্ড, যা শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ফল নির্ধারণে বড় ভূমিকা রাখে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

নিউজিল্যান্ড: ৫০ ওভারে ৩২০/৫ (ল্যাথাম ১১৮*, ইয়াং ১০৭, ফিলিপস ৬১; নাসিম ২/৬৩, হারিস ২/৮৩)। পাকিস্তান: ৪৭.২ ওভারে ২৬০ (খুশদিল ৬৯, বাবর ৬৪, সালমান ৪২; ও’রুর্ক ৩/৪৭, স্যান্টনার ৩/৬৬)। ফল: নিউজিল্যান্ড ৬০ রানে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: টম ল্যাথাম।

Related News

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

সর্বশেষ