এনামুল হক। বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে এনামুলের ছড়াছড়িতে ডাক নাম বিজয়েই বেশি পরিচিত এই ওপেনার। বিজয় দিবসে যাঁর জন্ম, সেই এনামুল ২০১২ সালে বিজয়ের মাস ডিসেম্বরেই পেয়েছিলেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি।
পরের বছরের ডিসেম্বরে বিজয় দিবস টি-টোয়েন্টি কাপেই স্বীকৃতি টি-টোয়েন্টিতে প্রথম সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন এনামুল। সিলেটে প্রাইম ব্যাংকের হয়ে মোহামেডানের বিপক্ষে ৬৩ বলে ১০৫ রান করেছিলেন এই ডানহাতি। এত দিন সেটাই ছিল টি-টোয়েন্টিতে তাঁর একমাত্র সেঞ্চুরি।
১১ বছর পর সেই এনামুল আজ আরেক ডিসেম্বরে সেই সিলেটেই স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দেখা পেলেন। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে জাতীয় লিগ টি-টোয়েন্টিতে খুলনা বিভাগের হয়ে ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে ৬৭ বলে ১০১ রান করে অপরাজিত ছিলেন এই সংস্করণে ১৮১তম ম্যাচ খেলা এনামুল।
জিতেছে এনামুলের দলও। গতকাল ৩২তম জন্মদিন উদ্যাপন করা এই ব্যাটসম্যানের ১০ চার ও ৫ ছক্কার ইনিংসে ভর করে ৩ উইকেটে ১৮০ রান করে খুলনা। রান তাড়ায় ৪ উইকেটে ১৫৯ রান তুলে ২১ রানে হারে ঢাকা বিভাগ। পাঁচ ম্যাচে দ্বিতীয় জয়ে শেষ চারে ওঠার সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রাখল খুলনা। অন্যদিকে সমান ম্যাচে চতুর্থ হারের দেখা পাওয়া ঢাকার সমীকরণ কঠিন হয়ে গেল অনেকটাই।
৩৮ বলে ৫০ ও ৬৬ বলে ১০০ ছোঁয়া এনামুল সেঞ্চুরি পেয়েছেন ইনিংসের শেষ ওভারের পঞ্চম বলে। ইকবাল হাসানকে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ দিয়ে ছক্কা মেরে ৯৪ থেকে ১০০-তে পৌঁছে যান এনামুল। চতুর্থ উইকেটে ৮৯ রানের জুটিতে তাঁর সঙ্গী অধিনায়ক নুরুল হাসান অপরাজিত ছিলেন ২৩ বলে ৩৯ রান করে।
রান তাড়ায় ঢাকা ১২.৩ ওভারে ৭২ রানে ৪ উইকেট হারানোর তাইবুর রহমান ও মাহিদুল ইসলামরা চেষ্টা করেও ব্যবধান ঘোচাতে পারেননি। তাইবুর ৪১ বলে ৬৩ ও মাহিদুল ২৩ বলে ৪৩ রানে অপরাজিত ছিলেন।
রংপুরের পাঁচে পাঁচ
টানা পাঁচ জয়ে সবার আগে প্লে-অফ খেলা নিশ্চিত করেছে রংপুর বিভাগ। সকালে সিলেট আউটারে বরিশাল বিভাগকে ১০৮ রানে অলআউট করে আকবর আলীর দল। ১০৯ রানের লক্ষ্যটা ১৩ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখে পেরিয়ে টানা পঞ্চম জয় পায় রংপুর।
রংপুরের পেসার আলাউদ্দিন বাবু ৪ ওভারে ৯ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট। এই পারফরম্যান্স তাঁকে ম্যাচসেরার পুরস্কারও এনে দিয়েছে। রান তাড়ায় রংপুরের ওপেনার চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান করেছেন সর্বোচ্চ ৫৩ রান (৪৪ বল)।