সেন্ট ভিনসেন্টের আর্নেস ভেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ স্বাগতিক দল, বাংলাদেশ অতিথি। তবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির ক্ষেত্রে এই মাঠের সর্বশেষ হালহকিকত বাংলাদেশেরই বেশি জানা।
জুনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটের ম্যাচে এ মাঠেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলেছে বাংলাদেশ। এর আগে এ মাঠেই প্রথম পর্বে নেপাল ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষেও দুটি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল আর্নস ভেলে সর্বশেষ খেলেছে ২০১৩ সালে। মাঝে সংস্কারকাজের জন্য অনেক দিন খেলা বন্ধ থাকা এই মাঠে আগামীকাল তিন টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ম্যাচে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিতে যাওয়া লিটন দাস ভালো কিছু করতে যেমন আশাবাদী, তেমনি বাস্তবতাও মাথায় রাখছেন।
টি-টোয়েন্টিতে এখন পর্যন্ত ১৬ বার মুখোমুখি হয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ৯ বার হেরেছে বাংলাদেশ। আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে ৮টি টি-টোয়েন্টিতে খেলে হেরেছে ৪টি। নাজমুল হোসেনের অনুপস্থিতিতে সিরিজে নেতৃত্ব দিতে চলা লিটন এই ধারা বদলাতে চাইলেও বাস্তবতায় পা রাখছেন, ‘টি-টোয়েন্টি আমাদের জন্য সব সময় কঠিনই হয়। এই এখন খেলাও ওয়েস্ট ইন্ডিজের হোম গ্রাউন্ডে। একটু কঠিন তো হবেই।’
টি-টোয়েন্টির আগে চলমান ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজে খেলেছে বাংলাদেশ। টেস্ট সিরিজ ১-১ ড্র করলেও ওয়ানডেতে ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই হয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজের নেতৃত্বাধীন দল। এখন টি-টোয়েন্টির নেতিবাচক অতীত মাথা থেকে ঝেড়ে যতটা সম্ভব প্রস্তুতিতেই মনোযোগ লিটনদের, ‘আমাদের প্রস্তুতিতে ঘাটতি নেই। গতকাল আলোর নিচে ফিল্ডিং অনুশীলন করেছি। এই দলের বেশির ভাগই অনেক দিন ধরে টেস্ট খেলেছে, ওয়ানডে খেলেছে। খেলার ওপরেই আছে। দু-একজন হয়তো নতুন। কিন্তু ওরাও অনুশীলনের সুযোগ পেয়েছে।’
জুনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দেখে যাওয়া উইকেট আর বর্তমান উইকেটে পার্থক্য আছে মনে হয়েছে বাংলাদেশ দলের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কের, ‘এটা বিশ্বকাপের উইকেটের চেয়ে ভিন্ন দেখা গেছে। একই নয়। এবার হয়তো পিচ ভিন্নভাবে প্রস্তুত করেছে।’
তবে পিচের ধরন বা আচরণ যেমনই হোক, ভালো সিরিজেরই আশা লিটনের, ‘চেষ্টা করব কীভাবে (খারাপ ফর্ম) থেকে বের হয়ে আসা যায়, ভালো একটা সিরিজ খেলা যায়।’
সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি শুরু হবে সোমবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টায়।