চ্যাম্পিয়নস লিগের ‘রাজা’ বা ‘কিং অব ইউরোপ’ বলা হয় রিয়াল মাদ্রিদকে। ১৫টা শিরোপা জেতা দলটিকে রাজা বলাটা অবশ্য মোটেই অত্ত্যুক্তি নয়। দ্বিতীয় এসি মিলানের ট্রফির সংখ্যা রিয়ালের অর্ধেকের কম। কিন্তু সেই রিয়াল যেন এবারের নতুন সংস্করণের চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজেদের হারিয়ে খুঁজছে।
৫ ম্যাচে ২ জয় ও ৩ হার নিয়ে রিয়ালের অবস্থান ২৪ নম্বরে। অবিশ্বাস্যই বটে। অথচ বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রিয়াল ছিল টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেবারিট। এমনকি অর্থমূল্যের সঙ্গে তুলনায়ও রিয়ালের এই পারফরম্যান্স হজম করা কঠিন।
ফুটবল পোর্টাল ট্রান্সফারমার্কেটের এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, পারফরম্যান্স এবং অর্থমূল্যের বিবেচনায় এখন পর্যন্ত চ্যাম্পিয়নস লিগের এ মৌসুমে সবচেয়ে বাজে দল রিয়াল। বর্তমানে রিয়ালের স্কোয়াডের মূল্য ১৩৬ কোটি ইউরো, যা ফুটবল ক্লাবগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি। বিপরীতে চ্যাম্পিয়নস লিগ পয়েন্ট টেবিলে রিয়ালের অবস্থান ২৪ নম্বরে। অর্থাৎ দাম ও অবস্থানের পার্থক্য–২৩।
এ তালিকায় দ্বিতীয় আরবি লাইপজিগ। গত মৌসুমে জার্মান ফুটবলে চমক দেখানো লাইপজিগের বর্তমান অবস্থান ৩৬ দলের মধ্যে ৩৪তম। ৫ ম্যাচের ৫টিতেই হারা দলটি এখন পর্যন্ত কোনো পয়েন্ট পায়নি। আর স্কোয়াডের মূল্য বিবেচনায় ক্লাবটির অবস্থান ১৩তম।
ফলে দাম ও পয়েন্ট তালিকায় অবস্থানের পার্থক্য দাঁড়ায় –২১।
লাইপজিগের ঠিক পরেই পিএসজির অবস্থান। চ্যাম্পিয়নস লিগ টেবিলে ২৫তম স্থানে থেকে অবনমন অঞ্চলে রয়েছে পিএসজি। স্কোয়াডের অর্থমূল্য বিচারে তারা সপ্তম।
অর্থাৎ দাম ও পয়েন্ট টেবিলে অবস্থানের পার্থক্য দাঁড়ায় –১৮। ৪ নম্বরে ম্যানচেস্টার সিটি। পেপ গার্দিওলার অধীনে স্মরণকালের সবচেয়ে বাজে সময় পার করা সিটি চ্যাম্পিয়নস লিগ পয়েন্ট টেবিলে ১৭তম। রিয়ালের পর তাদের স্কোয়াডই সবচেয়ে দামি (১২৬ কোটি ইউরো)। ফলে দাম ও পয়েন্ট টেবিলে অবস্থানের পার্থক্য –১৫। অর্থাৎ দামের তুলনায় চ্যাম্পিয়নস লিগে পারফরম্যান্সে সবচেয়ে বাজে দলগুলোর মধ্যে ৪ নম্বরে সিটি।
অর্থমূল্য ও পয়েন্ট তালিকার পার্থক্যে বাজে দল
ক্লাব | অর্থমূল্য ও পয়েন্টের পার্থক্য |
---|---|
রিয়াল মাদ্রিদ | –২৩ |
আরবি লাইপজিগ | –২১ |
পিএসজি | –১৮ |
ম্যান সিটি | –১৫ |
বায়ার্ন মিউনিখ | –১০ |