দ্যা নিউ ভিশন

বাংলাদেশের ৪৩, শ্রীলঙ্কার ৪২—টেস্টে কার সর্বনিম্ন কত

মাত্র ৪২ রানে অলআউট হয়েছে শ্রীলঙ্কা

টেস্টে ৭১ রানে অলআউট হওয়া সুখকর কিছু নয়। কিন্তু ১৯৯৪ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে করা এই রানই শ্রীলঙ্কাকে একধরনের সুখানুভূতি দিত এত দিন।

আফগানিস্তান, আয়ারল্যান্ড টেস্ট পরিবারের সদস্য হয়েছে এই তো সেদিন। বাকি ১০ দলের মধ্যে শ্রীলঙ্কা ছাড়া বাকি সব দলেরই ৫১ রানের মধ্যে অলআউট হয়ে যাওয়ার ‘রেকর্ড’ ছিল। কোনো কোনো দল তো পঞ্চাশের কমে একাধিকবারও অলআউট হয়েছে। কিন্তু শ্রীলঙ্কা কখনো ৭১ রানের নিচে আটকায়নি।

ডারবানের কিংসমিডে কাল লঙ্কানদের সেই ‘সুখানুভূতি’তে বড় আঘাত হেনেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সিরিজের প্রথম টেস্টে শ্রীলঙ্কাকে মাত্র ৪২ রানে গুঁড়িয়ে দিয়েছে প্রোটিয়ারা।

এটি শ্রীলঙ্কার টেস্টে সর্বনিম্ন ইনিংস তো বটেই, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও সব দলের মধ্যে সর্বনিম্ন। টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর সর্বনিম্ন রানের যে তালিকা, শ্রীলঙ্কার নাম সেখানে ৫ নম্বরে ঢুকে গেছে। এখন থেকে ছয় বছর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের করা ৪৩ রান তাতে এক ধাপ ওপরে উঠে গেছে। যার অর্থ, বাংলাদেশের চেয়েও টেস্টে সর্বনিম্ন স্কোর আছে পাঁচটি দলের।

টেস্টে সবচেয়ে কম রানের ইনিংসটি নিউজিল্যান্ডের। ১৯৫৫ সালে অকল্যান্ডে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র ২৬ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল কিউইরা। টেস্ট ক্রিকেটে এখনো পর্যন্ত ৩০–এর কম রানের ইনিংস এই একটিই। দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রানে অলআউট হওয়ার বিব্রতকর রেকর্ডটি দক্ষিণ আফ্রিকার। তাও একবার নয়, দুবার। প্রথমবার ১৮৯৬ সালে গেবেখায় (সাবেক পোর্ট এলিজাবেথ), দ্বিতীয়বার ১৯২৪ সালে বার্মিংহামে। দুটিতেই প্রতিপক্ষ ছিল ইংল্যান্ড, দুটিতেই দক্ষিণ আফ্রিকা অলআউট হয়েছে ৩০ রানে। এমনকি টেস্টের তৃতীয় সর্বনিম্ন স্কোর ৩৫ রানও প্রোটিয়াদেরই (১৮৮৯ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে)।

টেস্টে সবচেয়ে কম রানের ইনিংসটি নিউজিল্যান্ডের। ১৯৫৫ সালে অকল্যান্ডে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র ২৬ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল কিউইরা।

দক্ষিণ আফ্রিকা ছিল টেস্ট ক্রিকেটে পা রাখা তৃতীয় দল। প্রথম দুই দলের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার সর্বনিম্ন ৩৬ রান। ১৯০২ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বার্মিংহাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে এই রানে অলআউট হয়েছিল জো ডার্লিংয়ের অস্ট্রেলিয়া। মজার বিষয় হচ্ছে, ম্যাচটা অস্ট্রেলিয়া শেষ পর্যন্ত হারেনি। টেস্টে সবচেয়ে কম রানের ১০টি ইনিংসের মধ্যে শুধু এই একটি ম্যাচই ড্র হয়েছে, বাকি ৯টিতেই হেরেছে অল্প রানে গুটিয়ে যাওয়া দল।

ইংল্যান্ডের সর্বনিম্ন রানের ঘটনা অবশ্য আরও পুরোনো, আরও সাফল্যের। ১৮৮৭ সালের জানুয়ারিতে সিডনি টেস্টের প্রথম ইনিংসে মাত্র ৪৫ রানে অলআউট হয়েছিল ইংল্যান্ড। এখন পর্যন্ত এটিই ইংলিশদের টেস্টে সর্বনিম্ন রান। ম্যাচটিতে অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংসে ৭৪ রানের লিড নিয়েও অবশ্য জিততে পারেনি। বরং দ্বিতীয় ইনিংসে ১৮৪ রান তুলে শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ডই জিতেছিল ১৩ রানে।

টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে এখন পর্যন্ত ৫০ রানের কমে অলআউট হয়নি জিম্বাবুয়ে ও আফগানিস্তান।

টেস্টে ৫০ রানের কমে অলআউটের দিক থেকে ভারতের রেকর্ডও বিব্রতকর। এখন পর্যন্ত তিনবার স্কোরবোর্ডে ৫০ তোলার আগে অলআউট হয়েছে দলটি, যার মধ্যে দুটিই গত চার বছরের মধ্যে।

এই তো গত মাসে বেঙ্গালুরুতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র ৪৬ রানে অলআউট হয়েছে রোহিত শর্মার দল। তার আগে ২০২০ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অ্যাডিলেড টেস্টে ভারত অলআউট হয়েছিল মাত্র ৩৬ রানে। এটিই এখন পর্যন্ত সর্বনিম্ন। এর আগে সর্বনিম্ন ছিল ১৯৭৪ সালে লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪২।

বাংলাদেশ ৪৩ রানে অলআউট হয়েছে ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অ্যান্টিগা টেস্টে। পাকিস্তানের সর্বনিম্ন ২০১৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জোহানেসবার্গ টেস্টে (৪৯)। আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের সর্বনিম্ন ২০০৪ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কিংস্টনে।

টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে এখন পর্যন্ত ৫০ রানের কমে অলআউট হয়নি জিম্বাবুয়ে ও আফগানিস্তান। তবে জিম্বাবুয়ে এই তালিকার অংশ হওয়া থেকে বেঁচেছে অল্পের জন্য।

২০১২ সালে নেপিয়ারে কিউইদের বিপক্ষে ৫১ রানে থেমেছিল জিম্বাবুয়ের ইনিংস। ২০১৮ সালে একসঙ্গে টেস্ট মর্যাদা পাওয়া আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ড এখন পর্যন্ত খুব বেশি টেস্ট খেলেনি। দুই দলই খেলেছে ৯টি করে ম্যাচ।

এর মধ্যে আয়ারল্যান্ড ২০১৯ সালে লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৮ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল। তবে আফগানিস্তান এখন পর্যন্ত এক শর নিচে অলআউট হয়নি। ২০১৮ সালে বেঙ্গালুরুতে ভারতের বিপক্ষে ১০৩ রানই দলটির সর্বনিম্ন।

Related News

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

সর্বশেষ

চশমার যত্ন

চশমা এখন শুধু প্রয়োজন মেটানোর মাধ্যম নয়, বরং ফ্যাশনের ট্রেন্ডেও