দ্যা নিউ ভিশন

নভেম্বর ২৫, ২০২৪ ০৬:২৭

ইতিহাসের সম্মুখীন হতে গিয়ে বৃষ্টির আশঙ্কা

রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪৩ রানে ৫ উইকেট নিয়ে ইতিহাসের পাতায় স্থান পেলেন হাসান মাহমুদ।

দুপুরের পর থেকেই রাওয়ালপিন্ডির আকাশে মেঘ জমতে শুরু করে। ১৮৫ রানের টার্গেট নিয়ে বাংলাদেশের দুই ওপেনার যখন ব্যাটিংয়ে নামেন, তখন আকাশে ঘন কালো মেঘের রাজত্ব ছিল। তবে প্রকৃতির এই চ্যালেঞ্জও জাকির হাসান এবং সাদমান ইসলামকে দমাতে পারেনি। ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ের হাতছানি নিয়ে দুই ওপেনার বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান সংগ্রহ করেছেন। কিন্তু চা-বিরতির এক ওভার পর আলোক স্বল্পতার কারণে খেলা বন্ধ করে দিতে হয়। এরপর বৃষ্টি শুরু হলে আম্পায়াররা দিনের খেলার সমাপ্তি ঘোষণা করেন। তখন বাংলাদেশের রান ছিল বিনা উইকেটে ৪২। আজ শেষ দিনে জয়ের জন্য বাংলাদেশের আরও ১৪৩ রান প্রয়োজন। প্রথম টেস্টে ১০ উইকেটের ঐতিহাসিক জয় পাওয়ার পর, দ্বিতীয় টেস্টে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করার সম্ভাবনায় উজ্জীবিত টাইগাররা।

জাকির ছিলেন তীব্র টি২০ মেজাজে, দুটি চার ও একটি ছক্কা হাঁকিয়ে ২৩ বল থেকে ৩১ রান করেছেন। তার সঙ্গী সাদমান ৯ রান নিয়ে অপরাজিত আছেন। তবে আবহাওয়ার কারণে উদ্বেগ রয়েছে। আজও পিন্ডিতে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে, সকাল ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দুপুরের দিকে আকাশ কিছুটা মেঘলা থাকতে পারে, তবে বিকেলে রোদ উঠতে পারে। মিশ্র আবহাওয়া থাকলেও রাওয়ালপিন্ডির স্টেডিয়ামের ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভালো নয়, তাই এক দফা প্রবল বৃষ্টি দিনের খেলা পণ্ড করতে পারে। গতকাল ম্যাচ শেষ করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন হাসান মাহমুদ, যিনি জানান, বৃষ্টি না হলে আজকের মধ্যেই খেলা শেষ করার ভাবনা ছিল।

যদি আজ খেলা ড্র হয়, তাও বাংলাদেশের সিরিজ জয় নিশ্চিত হবে। তবে এমন একটি ঐতিহাসিক জয়ের এত কাছাকাছি এসে হারার হতাশা থাকবে। পাকিস্তানের মতো দলের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশের সুযোগ আসলে বারবার আসে না। শেষ দিনে উইকেটে নাটকীয় পরিবর্তন হতে পারে; ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এই মাঠে পাকিস্তানের ব্যাটিং শেষ দিনে ভেঙে পড়েছিল।

বাইরে দেশের মাটিতে বাংলাদেশে টেস্ট সিরিজ জয়ের মাত্র একটি ঘটনা রয়েছে—২০০৯ সালে উইন্ডিজের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে জয়। তবে বর্তমান সিরিজে জিতলে এটি বিদেশের মাটিতে পূর্ণশক্তির দলের বিপক্ষে প্রথম সিরিজ জয় হবে। এই ঐতিহাসিক জয় সম্ভব হয়েছে বাংলাদেশের পেসারদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের কারণে, যেখানে হাসান মাহমুদ ৫ উইকেট নিয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আগের দিন ব্যাট হাতে লিটন দাসকে সঙ্গ দেওয়ার পর, বল হাতে পাকিস্তানের ২ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। তরুণ পেসার নাহিদ রানা ৪ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানিদের কাঁপন ধরিয়েছেন। হাসান মাহমুদের মতে, নাহিদ সকালের সেশনে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছেন। দিনের প্রথম উইকেটটি নিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। এই ইনিংসে বাংলাদেশের পেসাররা প্রথমবারের মতো এক ইনিংসে ১০ উইকেট নিয়েছে এবং তাদের দাপটে পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংস ১৭২ রানে গুটিয়ে যায়।

Related News

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

সর্বশেষ

ঝলমলে আইপিএল নিলামের অন্য রূপ: কালো তালিকা, রাতারাতি কোটিপতি আর ক্ষমতা প্রদর্শন

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ললিত মোদি। ভারতীয় ক্রিকেট