ম্যাচসেরার পুরস্কার নিয়ে মঞ্চে আসার পরই সঞ্চালক রমিজ রাজা নাজমুল হোসেনের চোটের খবর জানতে চাইলেন। ব্যাট হাতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ৭৬ রানের ইনিংস খেলার পর ফিল্ডিংয়ের সময় বল থামাতে গিয়ে কুঁচকিতে চোট পান বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক। এরপর কিছুক্ষণ ফিল্ডিং করলেও শেষ পর্যন্ত তাঁকে মাঠ ছাড়তে হয়।
আগে থেকেই চোটজর্জর বাংলাদেশ দলে নতুন করে যোগ হলো আরও একটি দুশ্চিন্তা। নাজমুলও ম্যাচ শেষে নিজের চোট নিয়ে কোনো সুখবর দিতে পারলেন না। রমিজের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘একটু ভালো অনুভব করছি। তবে একটু সমস্যাও আছে। আমাকে পরের ম্যাচ (১২ নভেম্বর) পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।’
নিজের ব্যাটিং নিয়েও খুব একটা সন্তুষ্ট মনে হলো না নাজমুলকে, ‘সত্যি কথা বলতে, আমি খুব একটা খুশি নই। আমার আরও লম্বা সময় ব্যাটিং করা উচিত ছিল। এই উইকেটে স্পিনের বিপক্ষে ব্যাটিং করা কঠিন। আমার আরেকটু লম্বা ইনিংস খেলা উচিত ছিল। তবে আমি যেভাবে শুরু করেছি, সেটা নিয়ে খুশি।’
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৬৮ রানের জয়ের কৃতিত্বটা দলের দুই স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাসুম আহমেদের মধ্যেও ছড়িয়ে দিলেন তিনি, ‘যেভাবে মিরাজ ও নাসুম বোলিং করেছে, কৃতিত্ব তাদের দিতেই হয়। তাসকিন ভালো শুরু এনে দিয়েছে গুরবাজকে আউট করে। সে আফগানিস্তানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একজন ব্যাটসম্যান। সব মিলিয়ে বোলাররা খুব ভালো করেছে। আমি ফিল্ডিংয়ের ক্ষেত্রে যা চাচ্ছিলাম, যে এনার্জিটা চাচ্ছিলাম, সেটা আজ পেয়েছি। সেদিক থেকে আমি খুবই খুশি।’
নাজমুলের পর ইনিংসের শেষের দিকে ওয়ানডে অভিষেকে জাকের আলীর ২৭ বলে অপরাজিত ৩৭ রানের ইনিংসটা বাংলাদেশের স্কোরটাকে আড়াই শর ওপারে নিয়ে যায়। নাসুমের ব্যাট থেকে আসে গুরুত্বপূর্ণ ২৪ বলে ২৫ রান। লোয়ার অর্ডারের এমন প্রতি–আক্রমণের প্রশংসা করে নাজমুল বলেন, ‘ওরা যেভাবে শেষ করেছে, সেটার পর আমরা মুমেন্টামটা পেয়ে গিয়েছি। আমরা জাকের এবং লোয়ার মিডল অর্ডারে যারা ব্যাটিং করে, যেমন নাসুম, ওদের কাছে এটাই চাইব। ওরা আজ যেভাবে খেলেছে, আমি খুবই খুশি। আশা করছি, ওরা এভাবেই খেলে যাবে।’