অন্তর্বর্তী সরকারের অন্তরের ভাষা বিএনপি ঠিক বুঝতে পারছে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলার প্রসঙ্গ তুলে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রাজধানীর পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কের সামনে মঙ্গলবার দুপুরে ডেঙ্গু প্রতিরোধ কর্মসূচিতে যোগ দেন রুহুল কবির রিজভী। সেখানে তিনি বলেন, ‘একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় মইন ইউ আহমেদ ও ফখরুদ্দীন কিন্তু বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নাম জড়াতে পারেননি। এই মামলা ছিল শেখ হাসিনার রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক মামলা। তারপরও তাঁর বিরুদ্ধে মামলা এখনো প্রত্যাহার হচ্ছে না কেন? এটার কারণ কী, দেশবাসী জানতে চায়। আপনাদের অন্তরের ভাষা আমরা ঠিক বুঝতে পারছি না।’
রিজভী বলেন, ‘ছাত্র–জনতার তুমুল আন্দোলনে শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন। অন্তর্বর্তী সরকারকে আমরা সবাই সমর্থন দিয়েছি। এই সমর্থনের পরও তাঁরা যদি আলো–ছায়ার মধ্যে দুলতে থাকেন, তাহলে তো সামনের দিকে একটা বিপজ্জনক বার্তা বয়ে নিয়ে আসবে।’ তিনি তারেক রহমানের নামে শেখ হাসিনার দেওয়া মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারে ধীরগতি লুকিয়ে থাকা আওয়ামী দোসরদের নীলনকশার অংশ বলেও মন্তব্য করেন।
দুর্নীতি, অপরাধ, অবিচারে জড়িত আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপি-নেতাদের এখনো গ্রেপ্তার না করায় উষ্মা প্রকাশ করেন রিজভী। তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার আমলের মন্ত্রীরা—যাঁরা অপরাধ করেছেন, অবিচার করেছেন, তাঁদের ধরা না–ধরা, গ্রেপ্তার হওয়া না–হওয়া নিয়ে লুকোচুরি কেন খেলছেন? জনগণ কি প্রশ্ন করতে পারে না? জনগণ কি জানে না, কোনো না কোনো জায়গা থেকে পুতুল খেলার নাচের মতো আপনাদের সুতার টান দিচ্ছে। সেই সুতার টানে আপনারা নাচানাচি করছেন। এটাই তো সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছে।’
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা যেন একধরনের ধোঁয়াশার মধ্যে আছি।…এই শুনলাম, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী গ্রেপ্তার হয়েছেন। তার কয়েক দিন পর শুনলাম, যুক্তরাষ্ট্রের জ্যাকসন হাইটসে ঘোরাফেরা করছেন। আবার শুনলাম, তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরাফাত গ্রেপ্তার হয়েছেন। তার দুই-তিন দিন পরে শুনলাম তিনি গ্রেপ্তার হননি। জনগণের সঙ্গে এই প্রতারণা কিসের জন্য? জনগণের সামনে এই লুকোচুরি কিসের জন্য? এটা জনগণ জানতে চায়।’
ডেঙ্গু প্রতিরোধে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত এই কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম, সদস্যসচিব তানভীর আহমেদ, বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন, যুবদল নেতা ওমর ফারুক কাওসার, ছাত্রদল নেতা তৌহিদ আওয়াল প্রমুখ।