গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে অর্জিত ফসলকে হেলায় নষ্ট না করার বিষয়ে সবাইকে সতর্ক করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ। অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ‘যাঁরা আন্দোলন-সংগ্রামে ছিলেন, ১৬ বছর ধরে নির্যাতন ও জেল-জুলুমের শিকার হয়েছেন, তাঁদের উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেন। দেখবেন রাতে যারা মিছিল করে “বারবার দরকার, শেখ হাসিনা সরকার” তারা আর বের হওয়ার সাহস পাবে না।’
সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় হাফিজ উদ্দিন আহমদ এসব কথা বলেন। ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলের নেতা-কর্মীদের নামে দায়ের করা সব মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার এবং সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে’ এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
আলোচনায় হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলীতে অনেক দুর্বল লোক আছে। আওয়ামীপ্রীতির মানুষও আছেন, তাঁদের সরিয়ে দিন। শুধু পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করা মানুষ দিয়ে দেশ পরিচালনা করা যায় না। তাঁরা মানুষের সঙ্গে কখনো মেশেননি। মানুষের জন্য কখনো কাজ করেননি। তাঁরা ক্ষমতা ভোগ করতে এসেছেন। একটি সুন্দর সরকার গঠন করে বাংলাদেশকে আবার ট্র্যাকে নিয়ে আসুন। বাংলাদেশ লাইনচ্যুত হওয়ার আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ দেশের কৃতী সন্তান, তাঁকে সম্মান করি। তাঁর প্রতি বিএনপি ও জনতার সমর্থন আছে। সংস্কারের জন্য বেশি দিন সময় নেওয়া যাবে না। নির্বাচন কমিশন ও বিচার বিভাগ সংস্কার হলেই নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা সব বিষয় সংস্কার করবেন। আর আমরা চাই না এই সরকার ব্যর্থ হোক। এই সরকার ব্যর্থ হলে বাংলাদেশ ব্যর্থ হয়ে যাবে। প্রতিবেশী রাষ্ট্রের ষড়যন্ত্র সফল হবে।’
‘প্রতিবেশী দেশের গোলাম হয়ে থাকতে চাই না’ মন্তব্য করে হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমরা একটা স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করতে চাই।’
মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আব্দুস সালাম, জয়নুল আবদিন ফারুক, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন প্রমুখ।