সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণ-আন্দোলনের মুখে পালিয়ে গেছেন। তাই তাঁর পদত্যাগের প্রয়োজন নেই। বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের মশাল মিছিল–পরবর্তী এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেছেন।
সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বিজয়নগরের আল রাজী কমপ্লেক্সের সামনে থেকে মশাল মিছিলটি শুরু হয়। পল্টন মোড় বিজয়নগর পানির ট্যাংক মোড় ঘুরে মশাল মিছিলটি আল রাজী কমপ্লেক্সের সামনে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সমাবেশে গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেন, ‘শেখ হাসিনা পদত্যাগপত্র দিক বা না দিক, তাতে কী আসে যায়? যিনি গণ-আন্দোলনের মুখে পালিয়ে গেছেন, তার পদত্যাগের কিছু নেই।’ তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে যে অপরাধ করেছে, এ জন্য তাদের রাজনীতির কোনো অধিকার নেই। সুতরাং আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করতে হবে, তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। ভোটের রাজনীতির জন্য কোনো দল আওয়ামী লীগকে ক্ষমা করলেও জনগণ আওয়ামী লীগকে কোনো ক্ষমা করবে না।
অন্তর্বর্তী সরকার ইতিমধ্যে ব্যর্থ মন্তব্য করে রাশেদ খান বলেন, ‘একজন ৩-৪টি মন্ত্রণালয় চালান। হযবরল অবস্থা। কোন মন্ত্রণালয় ছেড়ে কোন মন্ত্রণালয় সামলাবে? সুতরাং উপদেষ্টা পরিষদের পরিধি বাড়াতে হবে। আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী সব পক্ষকে নিয়ে এর পরিধি বাড়াতে হবে।… আমরা চাই, উপদেষ্টা পরিষদের পরিধি ২১ থেকে বাড়িয়ে ৫১ করা হোক রাজনৈতিক অভিজ্ঞদের সমন্বয়ে।’
গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নিয়োগ করা আমলারা এখনো প্রতিবিপ্লবের স্বপ্ন দেখছেন। আপনাদের এই স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে। আওয়ামী লীগের নিয়োগ করা রাষ্ট্রপতিকে রেখে ছাত্র-জনতার অর্জিত বিজয় সুরক্ষিত নয়। রাষ্ট্রপতির গতকালের বক্তব্যের পর আজকে চট্টগ্রামে ছাত্রলীগ–যুবলীগ হামলা চালিয়েছে। ঢাকার গুলিস্তানে ছাত্রলীগ মিছিল করেছে। এগুলো স্বাভাবিক বিষয় নয়। এগুলো গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। প্রতিবিপ্লব মোকাবিলায় ছাত্রসমাজকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন বলেন, আওয়ামী লীগের যাবতীয় গুম, খুন, হত্যা, লুটপাট, অর্থ পাচার এবং জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের গণহত্যার বিচারের পর দলটি রাজনীতি করতে পারবে কি না, সে সিদ্ধান্ত নেবে এ দেশের জনগণ। তার আগে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক কার্যক্রম চালাতে পারবে না।
বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসানের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন পেশাজীবী অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খালিদ হাসান, ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আবদুর রহমান, যুব অধিকার পরিষদের সহসভাপতি হোসাইন নুর, শাকিল আহমেদ তিয়াস, মহানগর দক্ষিণের সভাপতি জাহাঙ্গীর হিরণ , উত্তরের সভাপতি মামুন শেখ প্রমুখ।