ছাত্রলীগের একটি কমিটিতে একসময় পদ থাকা নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সেক্রেটারি জেনারেল এস এম ফরহাদ। তিনি দাবি করেছেন, ছাত্রলীগের কোনো কর্মসূচি ও কার্যক্রমের সঙ্গে তাঁর সম্পৃক্ততা নেই।
আজ সোমবার বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথাগুলো বলেন ফরহাদ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের সভাপতি সাদিক কায়েমের পরিচয় গত শনিবার সামনে আসে। তিনি নিজেই তা প্রকাশ করেন। আজ পাওয়া যায় সেক্রেটারি জেনারেল ফরহাদের পরিচয়।
এ–ও জানা যায়, ফরহাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট শাখা ছাত্রলীগের ২০২২ সালের নভেম্বরে ঘোষিত কমিটিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে ছিলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের সেক্রেটারি জেনারেলের ছাত্রলীগের পদে থাকা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নানা আলোচনা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ফরহাদ আজ বিবৃতিতে বলেন, ‘সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট শাখা ছাত্রলীগের কোনো কর্মসূচি ও কার্যক্রমের সঙ্গে আমার সম্পৃক্ততা নেই। ছাত্রলীগের কোনো পদ-পদবির জন্য কোনো সিভি (জীবনবৃত্তান্ত) আমি কখনো কাউকে দিইনি। বিভাগ-ইনস্টিটিউটের কমিটিতে কাকে রাখা হবে, সেটা সংশ্লিষ্ট ছাত্রসংগঠনের সিদ্ধান্ত। সেখানে আমাকে কেন জড়ানো হচ্ছে, যেখানে আমি ইনস্টিটিউটে ছাত্রলীগের সঙ্গে কোনোভাবেই সম্পৃক্ত নই।’
ফরহাদ আরও বলেন, বিষয়টিকে তাঁরা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের চেতনা ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র বলে মনে করেন।
ফরহাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীমউদ্দীন হল ডিবেটিং ক্লাবের সভাপতি এবং সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট ডিবেটিং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। তাঁর সঙ্গে ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময়ের ছবি গতকাল রোববার রাতে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
ছড়িয়ে পড়া আরেকটি ছবিতে ডিবেটিং ক্লাবের একটি ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে তানভীর হাসান ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কারিগরি শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক রাকিব সিরাজীর পাশে ফরহাদকে বসতে দেখা গেছে।
বিষয়টি নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন ফরহাদ। বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আমি হল ডিবেটিং ক্লাবের সভাপতি এবং সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট ডিবেটিং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করার সময় বিতর্কের বিভিন্ন আয়োজনে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের উপস্থিত থাকার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা যাচ্ছে, যার সব কটিই ছিল ডিবেটিং ক্লাবসংশ্লিষ্ট আয়োজন, কোনো রাজনৈতিক আয়োজন নয়।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা শিবিরের সভাপতি সাদিক কায়েমও বিষয়টি নিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘ফরহাদ ছাত্রলীগের কোনো কর্মসূচি ও কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। ছাত্রলীগের পদের জন্য কখনো কারও কাছে সিভি জমা দেননি। তবু কেন তাঁকে কমিটিতে রাখা হয়েছে, তা আমরা জানি না।’
সাদিক আরও বলেন, ২০১৮ সালে প্রথম বর্ষের ছাত্র থাকা অবস্থায় ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে না যাওয়ায় ফরহাদকে তারা হল থেকে বের করে দিয়েছিল।