উচ্ছৃঙ্খল জনতার সহিংসতার (মব ভায়োলেন্স) মাধ্যমে ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দুজনকে হত্যার সুষ্ঠু তদন্তসহ বিচার দাবিতে ছাত্র-জনতা প্রতিবাদী মশালমিছিল ও সমাবেশ করেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীতে এই মশালমিছিল ও সমাবেশ হয়। বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন লেখক-নৃবিজ্ঞানী রেহনুমা আহমেদ, শিল্পী ফারজানা ওয়াহিদ শায়ান, সমগীত সাংস্কৃতিক প্রাঙ্গণের সংগঠক জিহাদ হোসেন, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মশিউর রহমান খান রিচার্ড, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান মুক্ত প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, মব ভায়োলেন্সের মাধ্যমে ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দুজন ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে। ময়মনসিংহে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক এক যুবদল নেতা হেফাজতে মারা গেছেন। তাঁরা এসব বিচারবহির্ভূত হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনার শাসনামলে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডকে একটি সাধারণ ব্যাপারে পরিণত করা হয়েছিল।
ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে হাসিনার পতন হয়েছে। গণ-অভ্যুত্থান বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে যে আকাঙ্ক্ষা তৈরি করেছে, তাতে প্রত্যেক নাগরিকের গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করা প্রাথমিক কর্তব্য বলে তাঁরা মনে করেন। তাঁরা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে অবিলম্বে বিচারবহির্ভূত এসব হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করছেন। একই সঙ্গে মৌলিক মানবাধিকার পরিপন্থী যেসব আইন আছে, তা অবিলম্বে বাতিল করার দাবি জানাচ্ছেন। তাঁরা খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় হামলা-লুটপাট বন্ধসহ দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।
মশালমিছিলে সংহতি জানিয়ে উপস্থিত ছিলেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, সাংবাদিক সাইয়েদা গুলরুখ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জেএসডির) সভাপতি তৌফিকুজ্জামান পিরাচা, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের দপ্তর সম্পাদক অনুপম রায় রুপক, ঢাকা নগর ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি আল-আমিন রহমান প্রমুখ। মশালমিছিল শেষে ঢাকা মহানগর ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক নুসরাত হকের সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে কর্মসূচি শেষ হয়।