বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী বলেছেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন অনির্বাচিত অবৈধ সরকারের পতন হলেও পতিত আওয়ামী স্বৈরাচার ও তাদের দেশি-বিদেশি দোসরদের ষড়যন্ত্র এখনো শেষ হয়ে যায়নি। বাংলাদেশ ও দেশের জনগণের বিরুদ্ধে যেকোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি প্রস্তুত। তাই রাষ্ট্র সংস্কারের পাশাপাশি জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা জরুরি। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হলেই কেবল ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মূল উদ্দেশ্য সফল ও সার্থক হবে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে খুলনা নগরের একটি অভিজাত হোটেলে বিভাগীয় বিএনপির প্রস্তুতি সভায় নিতাই রায় চৌধুরী এ কথাগুলো বলেন। ১৫ সেপ্টেম্বর ‘বিশ্ব গণতন্ত্র দিবস’ ও খুলনায় শোভাযাত্রা ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এস এম শফিকুল আলম (মনা)।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নিতাই রায় চৌধুরী বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ না থাকলেও স্বৈরাচারী হাসিনা সরকার তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে সাজা প্রদান করেছে। এ দেশের মানুষ বিশ্বাস করে না খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান কোনো দুর্নীতি করতে পারেন। ছাত্র-জনতার বিজয়কে নস্যাৎ করতে চারদিকে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
নিতাই রায় চৌধুরী বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত দ্রুততম সময়ের মধ্যে শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যা ও বিডিআর বিদ্রোহের নামে ৫৭ জন মেধাবী সেনা কর্মকর্তার হত্যার দায়ে ফাঁসি কার্যকর করা।
সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম। প্রস্তুতি সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম, সহধর্মবিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাস, সহতথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক আমিরুজ্জামান খান, বিএনপির সহপ্রচার সম্পাদক শামীমুর রহমান।
খুলনা বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডুর সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মীর রবিউল ইসলাম, শেখ ওয়াহিদুজ্জামান, সাবিয়া নাজমুল, ফরিদা ইয়াসমিন, খান রবিউল ইসলাম, খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান, বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এ টি এম আকরাম হোসেন, নড়াইল জেলা বিএনপির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম, মাগুরা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. আলী আহমেদ, ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ মজিদ, সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ ইফতেখার আলী প্রমুখ।
সভায় ‘বিশ্ব গণতন্ত্র দিবস’ উপলক্ষে ১৫ সেপ্টেম্বরের কর্মসূচির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কর্মসূচির অংশ হিসেবে নগরের শিববাড়ি মোড় জিয়া হল চত্বরে জমায়েত ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করা হবে। এরপর বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শুরু করে যশোর রোড হয়ে সার্কিট হাউসে গিয়ে শেষ হবে।