শ্রমিকদের আন্দোলনে দুষ্কৃতকারীরা প্রবেশ করে দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ। অবিলম্বে পোশাক খাতের নৈরাজ্য বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তারা।
আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে এ আহ্বান জানিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘পোশাকশ্রমিকদের যৌক্তিক দাবি আমরা সমর্থন করি। স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের বিদায়ের পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পর্যায়ক্রমে শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি পূরণের উদ্যোগ গ্রহণ করবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি। সাড়ে ১৫ বছরের অপশাসনের জঞ্জাল নিরসনে তাদের যৌক্তিক সময় দিতে হবে। কিন্তু দাবি আদায়ের নামে শ্রমিকদের আন্দোলনের আড়ালে পোশাক খাতে নৈরাজ্য সৃষ্টি ও রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করার নীলনকশা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পরাজিত শক্তি।’
পোশাক কারখানার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে শিল্পাঞ্চল এবং পোশাক খাত–সংশ্লিষ্ট এলাকায় সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন ও টহল জোরদার করার আহ্বান জানানো হয়েছে বিবৃতিতে। গাজীপুরের কাশিমপুরে পোশাক কারখানার গুদামের পার্শ্ববর্তী কারখানায় আন্দোলনকারী শ্রমিকদের আগুন দেওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগও প্রকাশ করা হয়েছে।
গণতন্ত্র মঞ্চের পক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান (মান্না), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম।