দেশে সাম্প্রতিক সময়ে অপরাধের ব্যাপকতার পেছনে পরাজিত রাজনৈতিক শক্তি দায়ী বলে দাবি করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব ইউনুস আহমেদ। আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথাগুলো বলেন।
সাম্প্রতিক সময়ে অপরাধের যে ব্যাপকতা দেখা যাচ্ছে, তা পবিত্র রমজান মাসের স্বাভাবিক চরিত্র না বলে মনে করেন ইউনুস আহমেদ। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ সাধারণত অপরাধপ্রবণ নয় এবং রোজার মাসে ঐতিহাসিকভাবেই সমাজে ‘তাকওয়ার’ প্রভাব দেখা যায়। কিন্তু এখন যে অপরাধের ব্যাপকতা দেখা যাচ্ছে, তা দেশকে অস্থিতিশীল করতে পরাজিত রাজনৈতিক শক্তির অপচেষ্টার অংশ।
পরাজিত শক্তি দেশকে অস্থিতিশীল করে গণ–অভ্যুত্থান–পরবর্তী সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণ করতে চাইছে উল্লেখ করে ইউনুস আহমেদ বলেন, তারা অভ্যুত্থানকে দেশের জন্য অকল্যাণকর দেখাতে চাইছে। এ কারণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সতর্ক ভূমিকা পালন করতে হবে এবং এর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।
ধর্ষণ একটি ফৌজদারি অপরাধ ও সামাজিক অবক্ষয়ের প্রতিফলন বলে মন্তব্য করেন ইউনুস আহমেদ। ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব বলেন, ধর্ষকের শাস্তির ব্যাপারে ধর্ম, বর্ণ, মতাদর্শনির্বিশেষে সবাই একমত। তিনি বলেন, তারপরও ধর্ষণের ইস্যু নিয়ে একদল নারী-পুরুষকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। মতাদর্শিক সংঘাত তৈরির অপচেষ্টা করা হয়। এতে সমাজে বিভক্তি তৈরি হয়। এটা না করে ঐক্যকে আরও দৃঢ় করতে হবে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান, আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব এছহাক মোহাম্মদ আবুল খায়ের, আহমদ আবদুল কাইয়ূম, দপ্তর সম্পাদক লোকমান হোসাইন, হারুন অর রশিদ, নূরুল করীম প্রমুখ।