বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে সামগ্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় মহানবী (সা.) ঘোষিত শ্রমনীতি বাস্তবায়ন করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন দলটির সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। আজ মঙ্গলবার খুলনার ফুলতলা উপজেলার দামোদর ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে বাংলাদেশ কৃষিজীবী শ্রমিক ইউনিয়ন খুলনা জেলা শাখা আয়োজিত দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে তিনি ওই ঘোষণা দেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মিয়া গোলাম পরওয়ার। জাতীয় মজুরি কমিশনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কৃষক-শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণ করা হবে বলেও তিনি জানান। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর শ্রমিককল্যাণ ফেডারেশনের একটি ইউনিট হলো বাংলাদেশ কৃষিজীবী শ্রমিক ইউনিয়ন। সম্মেলনে মাওলানা শেখ কামাল হোসেনকে সভাপতি ও মো. আল-আমিন গোলদারকে সাধারণ সম্পাদক করে ইউনিয়নের ২১ সদস্যের খুলনা জেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়।
অনুষ্ঠানে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘কৃষিজীবী ইউনিয়ন ঈমানের ভিত্তিতে দেশের সাধারণ কৃষকদের সংগঠিত করে একটি কল্যাণকর ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ধারণা দেবে। আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.) এমন কল্যাণকর রাষ্ট্র গঠন করে গোটা বিশ্ববাসীকে দেখিয়ে গেছেন। আর এই সংগঠিত কৃষিজীবী ইউনিয়ন হবে স্কুল অব ইসলাম। মূলত রাষ্ট্রে ইসলামি সমাজনীতি না থাকলে অধিকারবঞ্চিত মানুষের জন্য আলাদা শ্রমনীতি বাস্তবায়ন করা যায় না। এ জন্য কৃষকেরা তাঁদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য পায় না। আবার কৃষি উপকরণসহ সার, ওষুধ, কীটনাশকের মূল্যবৃদ্ধির কারণে কৃষকেরা হতাশ হয়ে পড়েন।’
জামায়াত ইসলামীর খুলনা জেলা সভাপতি মাওলানা শেখ কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ শ্রমিককল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি শফিকুল আলম, খুলনা জেলার প্রধান উপদেষ্টা ও জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা এমরান হোসাইন, উপদেষ্টা ও জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মুন্সী মিজানুর রহমান, শ্রমিককল্যাণ ফেডারেশনের খুলনা জেলা সভাপতি গাওসুল আযম, মহানগর সভাপতি মো. আজিজুল ইসলাম ফারাজী, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মুন্সী মঈনুল ইসলাম, অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুস, জেলা জামায়াতের যুব বিভাগের সভাপতি মোস্তফা আল মুজাহিদ প্রমুখ।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় শফিকুল আলম বলেন, ‘বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। কৃষকেরাই এ দেশের চালিকা শক্তি। কিন্তু এ দেশের কৃষক, শ্রমিক, মজুর মেহনতি মানুষেরা তাঁদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত। একমাত্র ইসলামি রাষ্ট্রব্যবস্থাই পারে খেটে খাওয়া কুলি, মজুর, শ্রমিক মেহনতি মানুষদের ন্যায়সংগত অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে। কৃষিজীবী শ্রমিক ইউনিয়নের কাজ হবে কৃষকদের ন্যায়সংগত দাবি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে ধরা। কৃষিজীবী শ্রমিকেরা ইমানের ভিত্তিতে এ দেশের কৃষকদের সংগঠিত করে ইসলামি রাষ্ট্র গঠনে সহযোগিতা করবেন।’