জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। প্রতিদিন এই অবস্থা আরও খারাপ হচ্ছে। বিনা বাধায় মানুষকে অত্যাচার, নির্যাতন ও হেনস্তা করার যেন ছাড়পত্র পেয়ে গেছে উচ্ছৃঙ্খল জনতা। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, দেশে মবোক্রেসি বা মবতন্ত্র চলছে।
আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় জি এম কাদের এ কথা বলেন। পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তা জানানো হয়।
জাপার চেয়ারম্যান বলেন, দেশে সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নেই। কাজের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে না। বেকারত্ব বাড়ছে। এরই মধ্যে প্রতিদিনই নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে আকাশচুম্বী হচ্ছে। এ কারণেই দেশে অভুক্ত ও অর্ধভুক্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে।
রাজনীতির নামে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং লুটতরাজের জন্য উচ্ছৃঙ্খল জনতার অভাব হয় না জানিয়ে জি এম কাদের বলেন, সরকারঘনিষ্ঠ মহল ভাবাদর্শের এসব জনতাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বাধা দিচ্ছে না। অনেক ক্ষেত্রে পরোক্ষভাবে সহায়তা করছে বা সহায়তা করতে বাধ্য হচ্ছে। এই সুযোগে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী বাহিনী যে কাউকে আওয়ামী লীগ বা আওয়ামী লীগের দোসর তকমা দিয়ে তার সহায়সম্পদ লুটপাট করতে পারছে।
সম্প্রতি গুলশানের একটি বাসায় লুটপাটের ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে উল্লেখ করে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, অথচ লুটের ঘটনার সঙ্গে ৮০ থেকে ৯০ জন জড়িত ছিল বলে সংবাদমাধ্যমের খবর থেকে জানা গেছে। বাকি মানুষ কী কারণে দায়মুক্তি পেল, বোঝা গেল না। ঢালাওভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বিগত সরকারের দোসর হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। এতে তাঁদের মনোবল দুর্বল করে দেওয়া হয়েছে।
মতবিনিময় সভায় জাপার মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর, রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, ভাইস চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ সেলিম, শাহজাহান মিয়া, যুগ্ম মহাসচিব সামসুল হক ও এ বি এম লিয়াকত হোসেন চাকলাদার, চেয়ারম্যানের প্রেস সচিব খন্দকার দেলোয়ার জালালী প্রমুখ অংশ নেন।