জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমের উপস্থিতি ঘিরে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে মারামারির ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। ওই ঘটনায় ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা জড়িত ছিলেন এমন অভিযোগ ওঠার পর কমিটি গঠনের কথা জানানো হলো।
বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাতে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তদন্ত কমিটি গঠনের কথা জানানো হয়।
ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলমের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৫ মার্চ (বুধবার) নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা পরিলক্ষিত হয়। উক্ত অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার তদন্তের জন্য জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সিনিয়র সহসভাপতি আবু আফসান মোহাম্মাদ ইয়াহইয়া ও সহসভাপতি জহির রায়হান আহমেদের সমন্বয়ে দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হলো। সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রীয় সংসদ বরাবর লিখিত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশনা প্রদান করা হলো।
ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীনের নির্দেশনায় এ কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
উল্লেখ্য, সারজিস আলম বুধবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় যান। তিনি ঘণ্টা তিনেক ধরে ওই এলাকার বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শ খানেক শিক্ষার্থীর সঙ্গে আড্ডা দেন। রাত ১০টার পর প্রায় ১৫ জন তরুণ হঠাৎ অন্য পাশ থেকে সারজিসকে লক্ষ্য করে বিভিন্ন স্লোগান দিতে শুরু করেন। একপর্যায়ে সারজিসের সঙ্গে থাকা শিক্ষার্থীরা এগিয়ে গেলে দুই পক্ষে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। সারজিসও এগিয়ে গিয়ে দুই পক্ষকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে সারজিস গাড়িতে উঠে সেখান থেকে চলে আসেন। এরপর দুই পক্ষে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী আহত হন। মো. মুশতাক তাহমিদ নামের এমবিএর ওই শিক্ষার্থীর পিঠে ধারালো অস্ত্রের আঘাত লেগেছে। সেখানে ১৩টি সেলাই দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
হামলার জন্য মুশতাক তাহমিদ নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র ও ছাত্রদল নেতা পরিচয়ধারী আহমেদ শাকিল ও তাঁর সহযোগী মাসরুরকে দায়ী করেছেন। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এ ঘটনায় থানায় মামলা গ্রহণ এবং দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি করেছেন তিনি।
ঘটনার পর ওই দিন গভীর রাতে ভাটারা থানায় আহমেদ শাকিল ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন কয়েকজন শিক্ষার্থী। ওই রাতেই থানায় পাল্টা অভিযোগ দেয় অপর পক্ষ। তবে কোনো পক্ষের অভিযোগকে মামলা হিসেবে গ্রহণ করেনি পুলিশ।