আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় দায়ের করা কিশোর আবদুল মোতালিব (১৪) হত্যা মামলায় তাঁকে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ শুক্রবার বিকেলে এ আদেশ দেন।
সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানকে আজ বেলা তিনটার পর কড়া নিরাপত্তায় ঢাকার সিএমএম আদালতের হাজতখানায় আনা হয়। এরপর তাঁকে হেলমেট ও বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরিয়ে হাজতখানা থেকে আদালতের এজলাস কক্ষে নেওয়া হয়। পরে পুলিশের পক্ষ থেকে শাজাহান খানকে রিমান্ডে নেওয়ার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরা হয়। আর আসামিপক্ষ থেকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত শাজাহান খানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, কিশোর আবদুল মোতালিব বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়েছিল। গত ৪ আগস্ট তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় মোতালিবের বাবা আবদুল মতিন বাদী হয়ে গত ২৬ আগস্ট ধানমন্ডি থানায় হত্যা মামলা করেন।
সেই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শাজাহান খানসহ ১৭৬ জনকে আসামি করা হয়। শাজাহান খানকে গতকাল রাতে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন শাজাহান খান। তিনি এই আসন থেকে প্রথমবার ১৯৮৬ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। একই আসন থেকে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়নে ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।