বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহর উদ্দেশ্যই ছিল মানুষের কল্যাণের জন্য সমাজে পরিবর্তন নিয়ে আসা। আমি খুব খুশি হয়েছি, তিনি অন্তত মরণোত্তর রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেয়েছেন। সরকারকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, সত্যিকার অর্থে একজন গুণী, অসাধারণ মেধাবী ও দেশপ্রেমী একজনকে তারা সম্মানিত করেছে।’
প্রয়াত সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহর মরণোত্তর একুশে পদক পাওয়া উপলক্ষে আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আজ আমরা সবাই অত্যন্ত আশাবাদী যে ফ্যাসিবাদের পরিবর্তন হয়েছে। ফ্যাসিবাদীরা পালিয়ে গেছে এবং আন্দোলনের মধ্য দিয়েই পালিয়ে গেছে। দেশের রাজনৈতিক দলগুলো ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে, সংগ্রাম করেছে। সর্বশেষ ছাত্র-জনতার সমবেত প্রচেষ্টায় সেটা সম্ভব হয়েছে।’
বাংলাদেশকে নতুনভাবে গড়ে তুলতে সবার আরও বেশি আন্তরিক হওয়া প্রয়োজন বলেন মির্জা ফখরুল। মাহফুজ উল্লাহর আরাধ্য কাজ করতে পারলে তাঁর প্রতি সম্মান দেখানো সম্ভব হবে বলেন তিনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘মাহফুজ উল্লাহ একসঙ্গে একজন লেখক, সাংবাদিক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও অ্যাকটিভিস্ট ছিলেন। সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ যে তিনি হচ্ছেন কনটেমপোরারি হিস্টোরিক্যাল।’
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘মাহফুজ উল্লাহকে আমার ব্যক্তিগত হিরো বলতে পারি। উনার বেশ কিছু বই আমি পড়েছি। তাঁকে বাংলাদেশের পরিবেশ সাংবাদিকতার অগ্রদূত বলা যায়। শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট রেজিমে মানুষ, সাংবাদিকেরা সত্য কথা ভুলে গিয়েছিলেন। উনি সত্য কথা বলতেন। ওইটাই মনে হতো যে ইটস অ্যান অ্যাক্ট অব ডিফাইন। ভয়াবহ রকমের স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে উনি কথা বলছেন। সে জন্য তাঁকে অনেক মূল্য দিতে হয়েছে।’
এ বছর সংস্কৃতি ও শিক্ষায় একুশে পদক পাওয়া শহিদুল আলম এবং চিত্রকলায় একুশে পদক পাওয়া রোকেয়া সুলতানা আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন মাহফুজ উল্লাহর ভাই মাহবুব উল্লাহ, সাবেক সচিব ইসমাইল জবিউল্লাহ, সাংবাদিক গোলাম মর্তুজা প্রমুখ।