গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক (নুর) বলেছেন, ‘বাংলাদেশের সব শ্রেণির মানুষের অপ্রতিরোধ্য সংগ্রামের মাধ্যমে দেড় দশকের স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের পতন হয়েছে। আপনারা পতিত স্বৈরাচার ও তার দোসরদের পরিণতি থেকে শিক্ষা নেবেন। মানুষ যাতে আপনাদের ওপর ত্যক্তবিরক্ত না হয়, সেভাবে কাজ করবেন। মানুষের পাশে থাকবেন।’
আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা বাজার বাসস্ট্যান্ডে গণ অধিকার পরিষদ আয়োজিত পথসভায় এসব কথা বলেন নুরুল হক। পটুয়াখালী শহীদ মিনারে আজ বেলা তিনটায় ‘রাষ্ট্র সংস্কার শীর্ষক’ সমাবেশে ঢাকা থেকে যাওয়ার পথে ভাঙ্গায় এ পথসভা করেন তিনি।
নুরুল হক বলেন, ফ্যাসিবাদ সরকার মনে করেছিল কেয়ামত পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবে। ছাত্র–জনতার অল্প কয়েক দিনের আন্দোলনে যেভাবে পতন হলো, তা কল্পনাও করা যায়নি। এ কৃতিত্ব কোনো রাজনৈতিক দলের নয়। জনগণ ও ছাত্ররা রাস্তায় নেমেছে বলেই স্বৈরাচারের পতন হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এক ফ্যাসিবাদ বাসস্ট্যান্ড, টেম্পোস্ট্যান্ড, সবজি বাজারসহ সারা দেশ যেভাবে দখল করেছিল, তাদের বিদায়ের মধ্য দিয়ে নতুন ফ্যাসিবাদ মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে চাইছে। ‘তাদের জায়গা এখানে হবে না’ মন্তব্য করে নুরুল হক বলেন, রাজনীতি নতুন ধারায়, নতুন পথে চলবে।
ডাকসুর এই সাবেক ভিপি আরও বলেন, ‘যদি কেউ মনে করেন আওয়ামী লীগ শেষ, আমরা বড় দল, আমরা চালাব। এক স্বৈরাচারকে হটিয়েছি, আর যেন কোনো স্বৈরাচার ক্ষমতায় আসতে না পারে সে ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে।’ নিজ দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে নুরুল হক বলেন, জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ থাকবেন। কৃষক যাতে থানায় গিয়ে সম্মান পান, হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা পান, সেই ব্যবস্থা নিশ্চিত করবেন। জনগণই সব ক্ষমতার উৎস।
নুরুল হক বলেন, ‘এ আন্দোলনে যাঁরা শহীদ হয়েছেন, তাঁদের পরিবারের পাশে দাঁড়াবেন আপনারা। অপরাধী পুলিশের শাস্তি হবে। বাকি পুলিশদের সহযোগিতা করবেন। পুলিশ না থাকলে আইনশৃঙ্খলা থাকবে না। আর কোনো রাজনৈতিক নেতার কথায় মামলা হবে না।’ দেশে থাকা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, ‘আল্লাহর কাছে মাপ চান। এ দেশের জনগণ আপনাদের মাপ করবে না। খুনের বিপরীতে খুনের রাজনীতি আর চলবে না। ভালো মানুষদের রাজনীতিতে এগিয়ে আসতে হবে। এ বিজয় ধরে রাখতে হবে, তা না হলে ভবিষ্যৎ অন্ধকার।’
এ সময় ভাঙ্গা উপজেলা গণ অধিকার পরিষদের সমন্বয়ক আনিসুর রহমান, ফরিদপুর জেলা গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ফরহাদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ মিয়াসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।