বর্তমান সরকার নিরপেক্ষ নয়: জি এম কাদের

সভায় জাপা চেয়ারম্যান অভিযোগ করেন, বর্তমানে সরকার দেশকে বিভক্ত করে সংস্কার প্রস্তাব তৈরি করেছে। এই প্রস্তাব একপেশে ও বাস্তবতার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়।

জি এম কাদের বলেন, ‘অনেক আগেই আমরা সংবিধান সংস্কারের দাবি তুলেছি। সংস্কার হতে হবে একটি নির্বাচিত সংসদে। নির্বাচিত সংসদ ছাড়া কোনো সংস্কারই বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। যদি সব রাজনৈতিক দলের সম্মতিতে সংস্কার হয়, তা নির্বাচিত সংসদে গ্রহণযোগ্য করা যায়। বর্তমানে দেশকে বিভক্ত করে যে সংস্কার প্রস্তাব তৈরি করা হয়েছে, তা একপেশে ও বাস্তবতার সঙ্গে ততটা সংগতিপূর্ণ নয়। এ কারণে সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে আমরা আগ্রহী নই। নির্বাচিত সংসদে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে আমরা কাজ করতে চাই।’

জাতীয় পার্টির সঙ্গে বর্তমান সরকার বৈষম্যমূলক আচরণ করছে বলেও অভিযোগ করেন জি এম কাদের। তিনি বলেন, ‘অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে দেশ একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। কেউ জানে না কেমন হবে দেশের ভবিষ্যৎ। এমন বাস্তবতায় আমাদের রাজনীতি নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। একটি নির্বাচন হবে, আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমাদের নেতা-কর্মীদের নামে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দেওয়া হচ্ছে। আমাদের স্বাভাবিক রাজনীতিতে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে।’ তিনি প্রশ্ন রাখেন, এভাবে চলতে থাকলে বর্তমান সরকার সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড করতে পারবে? নির্বাচনে সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি হবে?

সরকারের সহায়তায় কয়েকটি রাজনৈতিক দল রাজনীতির মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে উল্লেখ করে জি এম কাদের বলেন, ‘তারা সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে সরকারি দলের মতো আচরণ করছে। তারা ক্ষমতার মোহে দেশকে বিভক্ত করছে। বিভিন্ন অজুহাতে জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত করতে চাইছে। অন্যদিকে দেশে অরাজক পরিস্থিতি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও বেকারত্বের বিস্তার ব্যাপক। এ কারণেই দেশের অর্ধেকের বেশি মানুষ তাদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। জাতীয় পার্টিও মাঠে থাকবে, আমরা দেশের মানুষের অধিকার আদায়ের রাজনীতিতে কখনোই পিছপা হব না। শত নির্যাতনেও আমরা মানুষের অধিকারের প্রশ্নে চুপ থাকব না।’

জি এম কাদের আরও বলেন, ‘নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় দেশের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। মানুষের জানমাল ও ইজ্জতের নিরাপত্তা নেই। প্রশাসনের কাছে কোনো সেবা পাচ্ছে না মানুষ। আমরা মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে রাজপথেই থাকব।’

সভায় অন্যদের মধ্যে জাতীয় পার্টির জ্যেষ্ঠ কো–চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, শেরীফা কাদের প্রমুখ বক্তব্য দেন।