বাংলাদেশকে কারও ‘চোখ রাঙানো’ উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বাংলাদেশের মানুষের ঐক্যবদ্ধ শক্তির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘পৃথিবীর আর কোনো দেশের মানুষ এত আন্দোলন করেনি, এত মানুষ জীবন দেয়নি। কাজেই আমাদের প্রতি চোখ রাঙানো উচিত নয় কারও। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারলে আমরাই বিজয়ী হব।’
পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তারের পর নানা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের প্রতি ইঙ্গিত করে আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় নজরুল ইসলাম খান এসব কথা বলেন।
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তার ঘিরে ঘটনাবলির সঙ্গে ‘পতিত স্বৈরাচারের’ যোগসূত্র আছে বলে মনে করেন নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, ‘অন্য একটা সংগঠন সম্প্রতি যা করছে, আমি নামও নিতে চাই না। তাদের (আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ-ইসকন) দুনিয়ার বিভিন্ন দেশে শাখা আছে। জিজ্ঞাসা করেন, বাংলাদেশ ছাড়া আর কোনো দেশে তারা তাদের দাবি নিয়ে মিছিল করে, লংমার্চের ঘোষণা দেয়, এই ধরনের আন্দোলন করে?’
এই আন্দোলনের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, ‘কেন এখানে করা (আন্দোলন) হয় এবং কেন এত বছর ধরে যে নিপীড়ন-নির্যাতন চলেছে, তখন কোনো প্রতিবাদ না করে শেখ হাসিনার (ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী) পতনের পরে নতুন সরকার আসার পরেই এই আন্দোলনটা করা লাগবে?’
ইসকনের উদ্দেশে এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘তারা (ইসকন) এ দেশের মানুষ হয়ে ভারতের সরকারের কাছে অনুরোধ জানায় এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। বাংলাদেশ কি কারও অধীন দেশ নাকি যে ব্যবস্থা নেবে? আর তারাও (ভারত) বিবৃতি দেয়।’
জুলাই-আগস্টে সরকার পতনের আন্দোলনে নিহত ব্যক্তিদের নিয়ে ভারত কোনো বিবৃতি দেয়নি বলে অভিযোগ তুলে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এই যে আমাদের অ্যাডভোকেটকে মেরে ফেলা হলো, এ নিয়ে তো কোনো বিবৃতি নেই।’
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মোহাম্মদ আজম খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তৃতা করেন খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির মাওলানা আহমদ আলী কাশেমী, মাওলানা আবুল কাশেম, খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মুফতি ফখরুল ইসলাম, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম প্রমুখ।