বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেনের সাক্ষাতের সময় রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা প্রাধান্য পেয়েছে। তবে বাংলাদেশের নির্বাচন ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।
আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এই সাক্ষাতের সময় মির্জা ফখরুলের সঙ্গে ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ। তাঁদের বৈঠক চলে প্রায় এক ঘণ্টা।
বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু বলেন, সবাই জানতে চাচ্ছে, নির্বাচনের রোডম্যাপ কী, কবে নির্বাচন হবে? দেশি-বিদেশি স্টেকহোল্ডাররা (অংশীজন) সবাই তো অপেক্ষা করছে। আমরা আশা করি, সরকার জনগণের প্রত্যাশা পূরণে সফল হবে। একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে তারা যত দ্রুত সম্ভব এগিয়ে যাবে। আগামী দিনে সেটাই প্রত্যাশা থাকবে।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, বাংলাদেশের বিষয়ে সবার একই প্রশ্ন, নির্বাচন কবে? সেই প্রশ্নের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা সব সময় বলি যে যারা স্টেকহোল্ডার আছে, তারা অপেক্ষা করছে একটি নির্বাচিত সরকার আসার পরে তাদের সিদ্ধান্তগুলো তারা নেবে। তাদেরও (তুরস্ক) সেই আগ্রহ আছে। তারা জানতে চাচ্ছে, কবে নির্বাচন হবে?
তুরস্কের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বিএনপির মহাসচিবের বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে বলে জানান আমীর খসরু। তিনি বলেন, ‘আগামী দিনে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে আমরা সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করব। এ ব্যাপারে ওআইসিসহ আন্তর্জাতিকভাবে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের জন্য তুরস্কসহ আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করার চিন্তা আছে।’
আমীর খসরু বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তারা তুরস্কের ভাষার বিষয়ে কাজ করছে। আগামী দিনে সাংস্কৃতিক সেন্টার করার ভাবনা তাদের আছে। দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে ১.২ বিলিয়নের মতো ব্যবসা হচ্ছে। এটাকে আমরা সামনের দিকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি, সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। এ জন্য আমাদের দুই দেশের জনগণের সম্পর্ক এবং ব্যবসার সম্পর্ক কীভাবে আরও বাড়ানো যায়, সেটা আলোচনা হয়েছে।’
এ ছাড়া নির্বাচন কমিশনসহ আগামী দিনে আমাদের সংস্কারে তুরস্ক কাজ করতে রাজি আছে বলেও জানান আমীর খসরু।