দ্যা নিউ ভিশন

নভেম্বর ২৫, ২০২৪ ০২:৫৪

আমু হয়ে উঠেছিলেন গডফাদার, ‘বিশেষ চাপ’ দিয়ে করতেন জমি দখল

বর্ষীয়ান নেতা আমির হোসেন আমু আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য, ১৪ দলের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও মুখপাত্র। জাতীয় নেতা হলেও তাঁর প্রভাব-প্রতিপত্তি সবচেয়ে বেশি ছিল ঝালকাঠিতে। আওয়ামী লীগ সরকারের প্রায় ১৬ বছরে একটি সুবিধাবাদী গোষ্ঠীর উত্থান ঘটেছিল জেলায়, যারা আমুর হয়ে জেলার সব ধরনের ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ, নিয়োগ–বাণিজ্য, কমিটি গঠন, নির্বাচনী মনোনয়ন বিক্রি করত। এই চক্রের মাধ্যমে আমু হয়ে উঠেছিলেন ঝালকাঠির গডফাদার।

১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন বাকেরগঞ্জ-৭ আসন থেকে সংসদ সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হন। ১৯৭৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হয়েছিলেন আওয়ামী লীগ (মালেক) থেকে। এর পরের যত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিয়েছিল, সব কটিতেই দলের প্রার্থী ছিলেন তিনি। ২০০০ সালের উপনির্বাচনে ঝালকাঠি-২ আসন থেকে নির্বাচিত হন। এরপর ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালেও নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের খাদ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ২০১৪ সালে দায়িত্ব পান শিল্পমন্ত্রীর। সর্বশেষ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ঝালকাঠি-২ (সদর-নলছিটি) আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে এমপি হন আমু।

ঝালকাঠি জেলা বিএনপির সদস্যসচিব শাহাদাৎ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গত ১৬ বছর সব সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনকে কুক্ষিগত করে রেখেছিলেন আমির হোসেন আমু। নৈশপ্রহরী থেকে শুরু করে সব চাকরিতে আমুকে টাকা দিতে হতো। বিএনপির নেতা-কর্মীরা বাড়িতে ঘুমাতে পারেননি।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শেখ হাসিনা দেশ ছাড়েন। এরপর আমুর ঝালকাঠির বাড়িতে বিক্ষুব্ধ জনতা হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে। পরে ওই বাড়ি থেকে পোড়া-অক্ষত মিলিয়ে প্রায় চার কোটি টাকা ও বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার করে সেনাবাহিনী ও পুলিশ। এর আগেই আমু পালিয়ে যান। এর পর থেকে আমুর অবস্থান সম্পর্কে জানে না কেউ। তাঁর নামে একাধিক মামলা হয়েছে। ১৮ আগস্ট বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) নির্দেশনায় তাঁর ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়। তাঁর পরিবারের সদস্যদের মালিকানাধীন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের লেনদেনও স্থগিত করা হয়।

আওয়ামী লীগ সরকারের প্রায় ১৬ বছরে একটি সুবিধাবাদী গোষ্ঠীর উত্থান ঘটেছিল জেলায়, যারা আমুর হয়ে জেলার সব ধরনের ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ, নিয়োগ–বাণিজ্য, কমিটি গঠন, নির্বাচনী মনোনয়ন বিক্রি করত। এই চক্রের মাধ্যমে আমু হয়ে উঠেছিলেন ঝালকাঠির গডফাদার।

জমি দখলের নেশা

ব্যক্তিমালিকানাধীন জায়গা দখল করে আমির হোসেন আমু নিজের মা-বাবার নামে আকলিমা মোয়াজ্জেম হোসেন ডিগ্রি কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। পরে ২০১২ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে প্রায় ছয় একর জমি জোর করে নামমাত্র মূল্যে লিখে নেন। ভুক্তভোগীদের মধ্যে পাঁচজনের সঙ্গে কথা বলেছে প্রথম আলো। তাঁরা বলেছেন, আমু নিজেই পুলিশের ভয় দেখিয়ে লোক দিয়ে জমি দখল করেন।

কলেজের পাশে ঝালকাঠি শহরের লবণ ব্যবসায়ী ফজলুল হক হাওলাদারের ৩৬ শতক জমি ছিল। তাঁর জামাতা প্রবাসী আতিকুর রহমানের আরও ৭৫ শতাংশ জমি নিয়ে ফজলুল হক যৌথভাবে হাওলাদার ফিলিং স্টেশন নামে একটি পাম্প নির্মাণ শুরু করেন। স্থাপনা নির্মাণসহ বিভিন্ন দপ্তর থেকে অনুমোদন নিতে ৩৬ লাখ টাকা খরচ করেন। কিন্তু আমু তাঁর প্রতিষ্ঠিত কলেজের জন্য সেই জমি লিখে দিতে চাপ সৃষ্টি করেন। ফজলুল হক অস্বীকৃতি জানানোয় আমুর ‘খলিফা’ জিএস জাকিরের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা প্রায়ই তাঁর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে জমি লিখে দিতে হুমকি দিয়ে আসতেন। একদল পুলিশ প্রায়ই তাঁর ছেলে রিয়াজুল ইসলামকে তুলে নিয়ে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত থানায় বসিয়ে রাখত। ভয় দেখাত ‘ক্রসফায়ারের’।

ফজলুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘একদিন আমুর বরিশালের বগুড়া রোডের বাসায় আমাকে ও আমার জামাতাকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বসে তিনি বলেন, “আমার নামে জমি লিখে না দিলে তোমাদের পরিণাম হবে ভয়াবহ।” পরে ভয়ে আমি ও আমার জামাতা তাঁর বাসায় বসে জমি লিখে দিই। সেদিন রাত ১২টার দিকে ঝালকাঠি সদর সাবরেজিস্ট্রারের মাধ্যমে তাঁর বাসায় বসে জমি রেজিস্ট্রি হয়। আমাকে কাঠাপ্রতি তিন লাখ টাকা নামমাত্র মূল্য দেওয়া হয়। অথচ এ জমির প্রতি কাঠার মূল্য ১০ লাখ টাকা। জমি লিখিয়ে নেওয়ার জন্য একজন দলিল লেখক সব সময় প্রস্তুত থাকতেন। এ কাজে সহায়তা করতেন জিএস জাকির ও পিপি আবদুল মান্নান রসুল।’

আওয়ামী লীগ সরকারের প্রায় ১৬ বছরে একটি সুবিধাবাদী গোষ্ঠীর উত্থান ঘটেছিল জেলায়, যারা আমুর হয়ে জেলার সব ধরনের ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ, নিয়োগ–বাণিজ্য, কমিটি গঠন, নির্বাচনী মনোনয়ন বিক্রি করত। এই চক্রের মাধ্যমে আমু হয়ে উঠেছিলেন ঝালকাঠির গডফাদার।

লবণ ব্যবসায়ী ফজলুল হক

ব্যবসায়ী ফজলুল হক আরও বলেন, ‘আমার ব্যবসায়ী অংশীদার সালেক শরীফের সঙ্গে একটি লবণের মিল নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়। সেই মিলে আমি প্রায় ৪০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করি। কিন্তু সালেক শরীফের ছেলে জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল শরীফ (এক ‘খলিফা’) আমাকে মিলের অংশ দিতে অস্বীকার করেন। পরে সব তথ্যপ্রমাণ দেখানো সত্ত্বেও মীমাংসার নামে আমু পুরো মিলের মালিকানা সালেক শরীফকে দিয়ে দেন। আমার পক্ষে কথা বলবেন বলে আমু আমার কাছ থেকে নগদ পাঁচ লাখ টাকা নেন। সেই টাকাও আজ পর্যন্ত ফেরত পাইনি।’

খলিলুর রহমান নামে অপর এক জমির মালিক বলেন, ‘আমার অনেক কষ্টে জমানো টাকায় ৬ শতক জমিতে একটি পাকা টিনশেড ঘর তৈরি করি। সেই জমি লিখে নিতে জাকির চাপ সৃষ্টি করেন। পরে আমার বাড়ির প্রবেশপথ কলেজের সীমানাপ্রাচীর দিয়ে আটকে দেন আমু। কিছুদিন আমি ও আমার স্ত্রী মই দিয়ে প্রাচীর টপকে বাড়িতে প্রবেশ করতাম। আমুর ঢাকার বাসায় গিয়ে আমার স্ত্রী কিছুদিন গৃহকর্মীর কাজ করেছে, যাতে জমিটি লিখে দিতে না হয়। কিন্তু আমুর মন গলেনি। একপর্যায়ে মাত্র আট লাখ টাকার বিনিময়ে বাড়িসহ ছয় শতক জমি লিখে দিতে বাধ্য হই।’

একইভাবে আমু তাঁর প্রতিষ্ঠিত কলেজের জন্য আবদুর রাজ্জাক, পাদুকা ব্যবসায়ী সম্রাট শু হাউসের মালিক পরিমল চন্দ্র দে, সাবিহা কেমিক্যাল ওয়ার্কসের মালিক মো. সামসুল হক ও তাঁর ভাই-বোনদের ৩৬ শতকসহ অনেকের জমি দখল করে নেন। এসব জমি ভরাটের জন্য জেলা পরিষদ থেকে ২০ লাখ টাকা বরাদ্দও দেওয়া হয়।

আমুর ঢাকার বাসায় গিয়ে আমার স্ত্রী কিছুদিন গৃহকর্মীর কাজ করেছে, যাতে জমিটি লিখে দিতে না হয়। কিন্তু আমুর মন গলেনি। একপর্যায়ে মাত্র আট লাখ টাকার বিনিময়ে বাড়িসহ ছয় শতক জমি লিখে দিতে বাধ্য হই

খলিলুর রহমান

২০১৫ সালে আমুর নির্দেশে জেলা প্রশাসন পরিচালিত কালেক্টরেট স্কুল ভবনের দুটি কক্ষ ও সীমানাপ্রাচীর ভেঙে গুঁড়িয়ে দেন পৌর মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদারের লোকজন। কালেক্টরেট স্কুলের পাশেই আমুর স্ত্রীর নামে বেগম ফিরোজা আমু ঝালকাঠি টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের ভবন নির্মাণের জন্য এ ভাঙচুর চালানো হয়। ২০১৯ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি সুগন্ধা নদীর তীরে কালেক্টরেট স্কুলটি নির্মাণ করা হয়। বিদ্যালয়টির সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য জেলা প্রশাসন সামনেই একটি পুকুর ও চারপাশে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করে। কালেক্টরেট স্কুলটির পাশেই নির্মাণ করার কথা ছিল বেগম ফিরোজা আমু ঝালকাঠি টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের ভবন। পরে সেখানে আর সেই প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করা হয়নি, যদিও জমি দখলে রয়েছে। পরে ওই জমির পেছনে ২০২৩ সালে বেগম ফিরোজা আমু হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের নামে একটি ভবন নির্মাণ করা হয়।

জানতে চাইলে বেগম ফিরোজা আমু ঝালকাঠি টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও পৌর মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদার বলেন, ‘কলেজের ভবন নির্মাণের জন্য যে জমির প্রয়োজন, সমঝোতার মাধ্যমে একটু জমি নিয়েছি। পরে ভূমি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দুটি প্রতিষ্ঠানের জন্য জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।’

কালেক্টরেট স্কুলের সভাপতি ও জেলা প্রশাসক আশরাফুর রহমান বলেন, ‘আমি এ জেলায় নতুন যোগ দিয়েছি। বিদ্যালয়ের জমি অবৈধভাবে ব্যবহার করলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

‘চার খলিফা’র কমিশন বাণিজ্য

ঝালকাঠিতে উন্নয়ন প্রকল্প বরাদ্দ মানেই আমুকে কমিশন দিতে হতো। এ কাজে নিজের একটি বাহিনী তৈরি করেছিলেন তিনি। আমুর হয়ে বেশির ভাগ কাজ করতেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন খান সুরুজ ওরফে রাঙ্গা ভাই, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজ আল মাহমুদ, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক রেজাউল করিম জাকির ওরফে জিএস জাকির এবং জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল শরীফ। স্থানীয়ভাবে তাঁরা ‘চার খলিফা’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। আমুর ভায়রা ও এপিএস ফখরুল মজিদ কিরণ, ঢাকার বাসার আমুর ব্যক্তিগত সহকারী শাওন খানকেও কিছু ভাগ দিতে হতো। আমুর নামে তাঁরা ৩০-৪০ শতাংশ কমিশন নিয়ে সাধারণ ঠিকাদারদের কাছে দরপত্র বিক্রি করে দিতেন।

এলজিইডির অন্তত তিনটি সূত্রে জানা গেছে, ‘চার খলিফা’র নেতৃত্বে ঢাকার এলজিইডি ও সওজ অধিদপ্তরসহ মন্ত্রণালয় থেকে অপ্রয়োজনীয় কালভার্ট ও সেতুর প্রকল্প তৈরি করে নিয়ে আসা হতো। অনেক সময় ভালো সেতু ভেঙেও নতুন সেতু নির্মাণের কার্যাদেশ আনা হতো। আমুর আধা সরকারি চিঠির (ডিও লেটার) মাধ্যমে নেওয়া এসব কাজে অতিরিক্ত বরাদ্দ ধরা থাকত। পরে এসব কাজ প্রায় ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমিশনে বিক্রি করে দেওয়া হলেও ঠিকাদারের লাভ থাকত।

ঝালকাঠি সওজের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘ঠিকাদার নির্বাচনে আমুর সিদ্ধান্তই ছিল চূড়ান্ত। ই-টেন্ডার চালু হওয়ার পর দরপত্র (গুচ্ছ) নেওয়া গেলেও জমা দিতে দরপত্রের কাগজ তুলে দিতে হতো চার খলিফার হাতে। কথা না শুনলে সরকারি কর্মকর্তাদের কেবল বদলি নয়, হেনস্তা করা হতো। সড়ক বিভাগের মতো এলজিইডি, শিক্ষা প্রকৌশল দপ্তর, গণপূর্ত, জেলার চার উপজেলা প্রকৌশলী, ত্রাণ ও পুনর্বাসনের প্রকল্প বাস্তবায়ন বিভাগসহ সব ক্ষেত্রেই ছিল একই নিয়ম।

ঝালকাঠি এলজিইডির ঠিকাদার মেসার্স মনোয়ারা এন্টারপ্রাইজের মালিক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘২০১৩ সাল থেকে এলজিইডিতে কাজ করছি। লটারির মাধ্যমে কয়েকটি কাজ পেয়েও আমুকে ৫ পার্সেন্ট হারে কমিশন দিতে হতো। টাকা না দিলে কাজ করা সম্ভব হতো না। আমার কাছ থেকে ৬৮ লাখ ও ৩৩ লাখ টাকার দুটি কাজের বিপরীতে প্রায় ৪ লাখ টাকা কমিশন নেওয়া হয়েছে।’

জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ মনিরুল ইসলাম তালুকদার ওরফে মনির হুজুর ছিলেন আমুর বিশ্বস্ত সহচর। মনিরুলের বাবা লিয়াকত আলী তালুকদার ছিলেন পৌরসভার মেয়র। পৌরসভার সব ঠিকাদারির কাজ নিয়ন্ত্রণ করতেন মনিরুল। তিনি প্রতিটি ঠিকাদারি কাজ শুরু করার আগেই আমুর কমিশনের ভাগ হিসাব করে ঢাকায় পাঠিয়ে দিতেন। তাঁর পরিবার কানাডায় স্থায়ীভাবে বসবাস করে।

Related News

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

সর্বশেষ

ঝলমলে আইপিএল নিলামের অন্য রূপ: কালো তালিকা, রাতারাতি কোটিপতি আর ক্ষমতা প্রদর্শন

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ললিত মোদি। ভারতীয় ক্রিকেট