ছাত্র-জনতা-শ্রমিকের অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদী শাসনের বিদায় হয়েছে, এখন ফ্যাসিস্ট–ব্যবস্থা বিদায় করতে হবে। নাগরিক হিসেবে মানুষের মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে।
আজ শুক্রবার বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির তৃতীয় কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের উদ্বোধনী সভায় গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি এ কথাগুলো বলেন। আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে সভাটি শুরু হয়।
জোনায়েদ সাকি বলেন, শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশে সাড়ে ১৫ বছর ফ্যাসিবাদী শাসন জারি রেখেছিল। শেখ হাসিনার পরিবার ও তাদের দোসররা বাংলাদেশ থেকে ১০০ কোটি ডলারের বেশি অর্থ বিদেশে পাচার করেছে। ছাত্র-জনতা-শ্রমিকের অভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদী শাসনের বিদায় হয়েছে, এখন ফ্যাসিস্ট–ব্যবস্থার বিদায় চায় বাংলার মানুষ।
স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে সুযোগের সমতা, মর্যাদা ও ইনসাফের প্রতিশ্রুতি থাকলেও গত ৫৩ বছরে এ দেশের মানুষ তা দেখেনি উল্লেখ করে জোনায়েদ সাকি বলেন, ১৯৭২ সালের সংবিধান এক ব্যক্তির হাতে সব ক্ষমতা কুক্ষিগত করেছে। এই সাংবিধানিক স্বৈরতন্ত্র ব্যবহার করে শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বাপ-দাদার সম্পত্তি বানিয়েছিল।
জোনায়েদ সাকি বলেন, আজকের বাংলাদেশের লক্ষ্য বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তোলা। এর জন্য দরকার নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত, দরকার রাষ্ট্রীয় সকল প্রতিষ্ঠানের আমূল সংস্কার।…মালিকেরা শ্রমিকদের বকেয়া বেতন দিতে ব্যর্থ হলে সরকারকে দায়িত্ব নিতে হবে। শ্রমিকদের ভোগান্তি শেষ হলেই সব বৈষম্যের অবসান হবে।
গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির কেন্দ্রীয় সভাপ্রধান তাসলিমা আখতারের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ, উন্নয়নকর্মী মাহীন সুলতান, আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, লেখক ও শিক্ষক নাভিন মুরশিদ, নারী আন্দোলন ও উন্নয়নকর্মী সীমা দাস শিমু, নারী সংহতির সাধারণ সম্পাদক অপরাজিতা চন্দ, ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ ও গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেন প্রমুখ।
বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির তৃতীয় কেন্দ্রীয় কাউন্সিল অধিবেশন উদ্বোধন করেন ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নিহত শ্রমিক শুভ শীলের মা সাধনা শীল। জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু করা হয়।