বিএনপি আগামী মাসে (নভেম্বর) রাজধানী ঢাকাসহ জেলা ও মহানগরে নতুন করে গণসংযোগ কর্মসূচি শুরু করবে। রাষ্ট্র মেরামতের লক্ষ্যে ঘোষিত ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি সামনে রেখে এই কর্মসূচি শুরু করছে দলটি।
বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে গতকাল সোমবার রাতে অনুষ্ঠিত দলের স্থায়ী কমিটির সভায় নতুন করে সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদারের সিদ্ধান্ত হয়। একই সঙ্গে কর্মসূচি শুরুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
দলীয় সূত্র জানায়, এসব কর্মসূচির মধ্যে এবারের ৭ নভেম্বর ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ জাঁকজমকভাবে পালন করা হবে। এ উপলক্ষে ঢাকাসহ সারা দেশে জেলা ও মহানগরে ১০ দিনের কর্মসূচি থাকবে। ঢাকায় বড় আকারে শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা হবে। ৭ নভেম্বর কেন্দ্রিক কর্মসূচির পর অবস্থা বুঝে সাংগঠনিক কর্মসূচির গতি বাড়ানো-কমানো হবে।
বিএনপির সূত্র জানিয়েছে, দেশের বিভিন্ন এলাকায় হঠাৎ বন্যার কারণে রাজনৈতিক কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছিল। এখন আবার নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
জানা গেছে, গতকালের সভায় স্থায়ী কমিটির সদস্যরা রাষ্ট্র মেরামতে ঘোষিত সংস্কার কর্মসূচি এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন দাবির বিষয়ে আলোচনা করেন। তাঁরা ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের পর রাষ্ট্রে নতুন করে কোনো ধরনের সংকট বা জটিলতায় পড়ুক—এমন পরিস্থিতি সতর্কভাবে এড়িয়ে চলার অবস্থান প্রকাশ করেন। বিশেষ করে, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ প্রশ্নে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থায়ী কমিটির একজন নেতা প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির বিষয়ে সরকার তো বিএনপির কাছে কোনো মতামত চায়নি। ছেলেদের কথায় বিএনপিকে সাড়া দিতে হবে কেন?’
লন্ডন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্থায়ী কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভায় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও স্থায়ী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।