রাষ্ট্রপতির পদ থেকে মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণ বা পদত্যাগের পক্ষে ইতিমধ্যেই অবস্থান প্রকাশ করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। আজ শনিবার বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকেও দলটি আগের অবস্থানই প্রকাশ করেছে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনে করে, পতিত প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দালিলিক প্রমাণ নিয়ে রাষ্ট্রপতি ‘মিথ্যাচার’ করে তাঁর শপথ ভঙ্গ করেছেন। সুতরাং তিনি এ পদে থাকতে পারেন না।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা হাসনাত আবদুল্লাহসহ পাঁচজন পুরানা পল্টনে ইসলামী আন্দোলনের আমির সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিমের সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে রাষ্ট্রপতির প্রসঙ্গ ছাড়াও সংবিধান সংস্কারসহ আরও কিছু বিষয়ে কথা বলেন ছাত্রনেতারা। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সংবিধানের পুরো সংশোধন চায় না। তারা বলেছে, ২০০৯ সালের নবম জাতীয় সংসদ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ দলীয় স্বার্থে সংবিধানের অনেক সংশোধনী এনেছে। সেগুলো বাতিল করতে হবে। কারণ, এই সংশোধনীর কোনোটিই জাতীয় স্বার্থে করা হয়নি। ২০১৪ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত তিনটি অবৈধ নির্বাচন বাতিল করতে হবে।
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ বা অপসারণে কোনো সাংবিধানিক জটিলতার বিষয়ে গাজী আতাউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পালিয়ে যাওয়াতে কী কোনো সংকট হয়েছে? আর বর্তমান রাষ্ট্রপতি তো পলাতক প্রধানমন্ত্রীরই নিয়োগ করা। বরং এ বিষয়ে বিএনপির অবস্থান অস্পষ্ট বলে মনে করেন গাজী আতাউর রহমান। তিনি বলেন, বিএনপিকে স্পষ্ট সিদ্ধান্ত নিতে হবে। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করে বিএনপির তিন নেতা বলেছেন, তাঁরা রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ চান না। অথচ, দলের দুজন ভাইস চেয়ারম্যান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেছেন, তিনি এ পদে থাকতে পারেন না।