দ্যা নিউ ভিশন

নভেম্বর ২৪, ২০২৪ ২৩:৩২

এই বক্তব্যের প্রতি অটল থাকলে তিনি রাষ্ট্রপতি হওয়ার যোগ্য কি না, তা উপদেষ্টামণ্ডলী ভাবনা-চিন্তা করবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের আইন ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুলফাইল ছবি

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র সম্পর্কে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের মন্তব্যকে ‘মিথ্যাচার’ বলে উল্লেখ করেছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। তিনি জানিয়েছেন, এটি রাষ্ট্রপতির শপথ লঙ্ঘনের সামিল। যদি রাষ্ট্রপতি তাঁর বক্তব্যে অটল থাকেন, তবে তাঁর রাষ্ট্রপতি পদে থাকার যোগ্যতা নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলীর সভায় পুনরায় ভাবনা-চিন্তা করা উচিত।

আজ সোমবার বিকেলে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা এই মন্তব্য করেন।

মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীর অনুসন্ধানী প্রতিবেদন সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের বক্তব্য, যেখানে তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র পাননি বলে উল্লেখ করেছেন, সেটিকে ‘মিথ্যাচার’ এবং তাঁর শপথ লঙ্ঘনের শামিল বলে মন্তব্য করেন। তিনি উল্লেখ করেন, রাষ্ট্রপতি ৫ আগস্ট রাতে ভাষণে বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী তাঁর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এবং তিনি তা গ্রহণ করেছেন।

অধিকার ও করণীয় বিষয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে আপিল বিভাগের মতামত জানতে চাওয়া হয়েছিল বলে জানান আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এবং অন্যান্য বিচারপতিরা মিলিতভাবে একটি মতামত প্রদান করেন, যা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙে দেন।

আসিফ নজরুল আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন এবং রাষ্ট্রপতি জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়েছেন—এই প্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে রাষ্ট্রপতির কাছে একটি নোট পাঠানো হয়। রাষ্ট্রপতি সেই অভিমত গ্রহণ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করেন।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতির বক্তব্য ও কর্মকাণ্ডের মধ্যে সুস্পষ্ট স্ববিরোধিতা রয়েছে। যদি রাষ্ট্রপতি এখন বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগপত্র দেননি, তাহলে এ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে যে তাঁর রাষ্ট্রপতি পদে থাকার যোগ্যতা আছে কি না।

আইন উপদেষ্টা বলেন, যদি রাষ্ট্রপতি নিজ বক্তব্যের সাথে সাংঘর্ষিক হন, তাহলে তা গুরুতর অসদাচরণের মধ্যে পড়ে এবং এতে তাঁর মানসিক সক্ষমতা প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে।

অবশেষে, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগপত্র সরকারের কাছে আছে কি না—এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়া হয়েছিল এবং এটি নিয়ে আদালতে প্রশ্ন তোলা সম্ভব নয়।

Related News

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

সর্বশেষ