‘জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা (রহিতকরণ) অধ্যাদেশ, ২০২৪’-এর খসড়া আজ অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ অনুমোদন করেছে। এর ফলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যরা বিশেষ নিরাপত্তা সুবিধা পাবেন না।
আজ বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এই অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদিত হয়।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় যে, পূর্ববর্তী সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসারে ‘জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা আইন, ২০০৯’ প্রবর্তন করা হয়েছিল। পরবর্তীতে ২০১৫ সালে বিশেষ নিরাপত্তা ও সুবিধাদি প্রদানের জন্য গেজেট প্রকাশিত হয়েছিল। আইনটি শুধুমাত্র একটি পরিবারের সদস্যদের জন্য রাষ্ট্রীয় বিশেষ সুবিধা প্রদান করে, যা একটি স্পষ্ট বৈষম্য।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের পর বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সব বৈষম্য দূর করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সংসদ না থাকায় এই আইন রহিত করার জন্য অধ্যাদেশ জারি করা প্রয়োজন। এ প্রেক্ষাপটে, উপদেষ্টা পরিষদ ‘জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা (রহিতকরণ) অধ্যাদেশ’-এর খসড়া লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের আইনি যাচাইয়ের পর চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে।
এর পাশাপাশি, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ‘বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স বা এসএসএফ) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’-এর খসড়াও অনুমোদিত হয়।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জানায়, বাংলাদেশ রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যগণ’, এবং কোনো রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকারপ্রধান এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে ঘোষিত ব্যক্তিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ‘বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) আইন, ২০২১’ প্রণয়ন করা হয়েছিল।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রধান উপদেষ্টার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। বিদ্যমান আইনের আওতায় ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যগণের’ নিরাপত্তা প্রদান প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনায় কার্যকর করা সম্ভব নয়। তাই আইনটির কিছু বিধান বিলোপ করে এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার নিরাপত্তা বিধানের বিষয়টি সংযোজন করে অধ্যাদেশের খসড়া উপদেষ্টা পরিষদ সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন করেছে।