দ্যা নিউ ভিশন

নভেম্বর ২৫, ২০২৪ ০২:০৬

দেশে প্রথমবারের মতো চাল উৎপাদন ৪ কোটি টন অতিক্রম করেছে।

ছবি: সংগৃহীত

ধানের ফলন বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশ এবার প্রথমবারের মতো এক অর্থবছরে চার কোটি টনের বেশি চাল মজুত করেছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, কৃষকরা ২০২৩-২৪ অর্থবছরে চার কোটি ছয় লাখ টন চাল উৎপাদন করেছেন, যা গত বছরের তুলনায় ৪.১% বেশি।

শুষ্ক মৌসুমে বোরো ধানের আগে আমন ধানে সর্বাধিক ফলন হয়েছে। বোরো দেশের প্রধান ফসল, এবং গত মে থেকে জুনের মধ্যে কৃষকরা প্রায় দুই কোটি ১০ লাখ টন ধান পেয়েছেন।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের সাবেক নির্বাহী চেয়ারম্যান ওয়ায়েস কবির উল্লেখ করেছেন যে কৃষকরা আধুনিক ও উচ্চ ফলনশীল জাতের ধানে প্রবেশ করছে, যার ফলে উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কৃষি অর্থনীতিবিদ জাহাঙ্গীর আলম জানান, উৎপাদন বাড়লে চাল আমদানি কমে যায়।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশে চাল আমদানি হয়নি, কারণ সরকারি ও বেসরকারি খাতে পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ৭ অক্টোবর পর্যন্ত কোনো আমদানি হয়নি, যেখানে আগের বছর ১০ লাখ ৫৬ হাজার টন চাল আমদানি করা হয়েছিল।

তবে, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ফেলো এম আসাদুজ্জামান উৎপাদন বৃদ্ধির বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, যদি উৎপাদন সত্যিই পর্যাপ্ত থাকে, তবে চালের দাম কেন বেড়েছে?

বিবিএস জানাচ্ছে, খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১০.৬৫% বেড়ে গেছে, যা আগের বছরে ছিল ৮.৭১%। ঢাকায় মোটা চালের দাম আগের বছরের তুলনায় ৭% বেড়ে ৫৫ টাকা হয়েছে।

আবহাওয়ার কারণে আমন চাষ নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে আমন চাষের জমির পরিমাণ কমে ৫৭.৩৫ লাখ হেক্টর হয়েছে।

জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, বন্যার কারণে উৎপাদন কম হতে পারে, তবে শস্যের মজুদ ভাল থাকলে আমদানির প্রয়োজন নাও হতে পারে। ওয়ায়েস কবিরও উল্লেখ করেছেন যে সরকারের সারের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা বোরো ধানের ফলনের ওপর প্রভাব ফেলবে।

Related News

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

সর্বশেষ

ঝলমলে আইপিএল নিলামের অন্য রূপ: কালো তালিকা, রাতারাতি কোটিপতি আর ক্ষমতা প্রদর্শন

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ললিত মোদি। ভারতীয় ক্রিকেট