ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সম্পর্ক নির্ধারণে উভয় দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও জাতীয় স্বার্থ রক্ষা প্রধান গুরুত্ব পাবে, মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন এবং বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক দুই দেশের জনগণের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ বন্ধন স্থাপিত।
আজ বুধবার, সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সঙ্গে বৈঠকের সময় এসব কথা বলেন। বৈঠকে তারা ভারতের সঙ্গে নৌ ও স্থলবন্দর উন্নয়ন বিষয়েও আলোচনা করেন।
উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন উল্লেখ করেন, স্থলবন্দরগুলোর কার্যক্রমকে উভয় দেশের স্বার্থে আরও গতিশীল করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তিনি জানান, বাংলাদেশে ভারতের বিনিয়োগ রয়েছে এবং দেশের ২৪টি স্থলবন্দর ভারতের সঙ্গে সংযুক্ত। বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দরগুলি, যেমন চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা, আন্তর্জাতিক ব্যবসায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
ভারতের হাইকমিশনার বলেন, ‘বাংলাদেশ ভারতের পরীক্ষিত বন্ধু। ভারত বাংলাদেশের উন্নয়নে সবসময় পাশে রয়েছে এবং উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর যেকোনো উদ্যোগে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।’
বৈঠকে আশুগঞ্জ নৌবন্দর, পায়রা বন্দর, মোংলা ও চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হয়। এছাড়া, ভারতীয় ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে পাট ও বস্ত্রশিল্পে বিনিয়োগে আহ্বান জানান। তিনি জানান, প্লাস্টিকের পরিবর্তে পাট ও পাটজাত পণ্যের চাহিদা বাড়ছে।
উপদেষ্টা বাংলাদেশি নাবিকদের ভারতের ভিসা প্রাপ্তি সহজ করতে এবং কলকাতা বন্দরে যাতায়াতের বিষয়টি সহজ করার জন্যও হাইকমিশনারকে অনুরোধ জানান। বৈঠকে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব, এবং বিআইডব্লিউটিএ-এর চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন।