বরিশালের হিজলা উপজেলায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ১০টি মাছঘাট লুটের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। হিজলা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল গাফফার তালুকদার আজ বুধবার দুপুরে থানায় এই মামলা করেন।
মামলার প্রধান আসামি হিজলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও হিজলা-গৌরব্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম। মোট আসামির সংখ্যা ১০০ জন, এবং মামলায় স্থানীয় ছয়জন সাংবাদিককেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে পুলিশ নজরুল ইসলাম এবং বড় জালিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক ভেলা ব্যাপারীকে গ্রেপ্তার করে। আজ দুপুরে তাঁদের আদালতে হাজির করা হলে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
বাদী অভিযোগে উল্লেখ করেন যে, ২৮ জুলাই আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে মেঘনা তীরের জানপুর, চরকিল্লা, খালিসপুর, কেউরিয়া, সাওয়া-সৈয়দপুর, পূর্বমান্দা এলাকায় হামলা চালানো হয়। হামলায় বেশ কয়েকজনকে আহত করা হয় এবং অর্ধকোটি টাকার মালামাল, সাতটি মাছ ধরা ট্রলার ও কয়েকটি জেনারেটর লুট করে নিয়ে যাওয়া হয়।
স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, মেঘনা নদীর ২২ কিলোমিটার অংশ হিজলা উপজেলার পাশ দিয়ে বয়ে গেছে, যেখানে ইলিশ মাছ ধরা ও বেচাকেনার কাজ হয়। এই ঘাটগুলো বছরে কয়েকশ কোটি টাকার মাছের বাণিজ্য করে। এই এলাকায় আগে তিন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মাছের সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণ করতেন।
গত ৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগের নেতারা আত্মগোপনে চলে যান এবং বিএনপির স্থানীয় তিন নেতা মাছঘাটের নিয়ন্ত্রণ নেন। তাঁদের মধ্যে আবদুল গাফফারও আছেন, যার বিরুদ্ধে চরের জমি ও বালু মহালসহ বিভিন্ন স্থাপনার দখলের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে সম্প্রতি গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয় এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি বিষয়টির তদন্তের উদ্যোগ নেয়। এসব ঘটনার পর আবদুল গাফফার তালুকদার মামলা করেছেন।