দ্যা নিউ ভিশন

নভেম্বর ২৫, ২০২৪ ০৩:২৩

মৌসুমের শেষদিকে ইলিশ আহরণে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বৈরী আবহাওয়া, ফলে হতাশ জেলেরা।

বৈরী আবহাওয়ার কারণে বুধবার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণকেন্দ্রে ইলিশের পরিমাণ কম এসেছে। বেলা একটার দিকে তোলা ছবি: প্রথম আলো।

মৌসুমের শেষ সময়ে দেশের দক্ষিণ উপকূলে ইলিশ আহরণে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বৈরী আবহাওয়া। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় বরিশালসহ দক্ষিণের জেলেরা শূন্য হাতে বন্দরে ফিরতে বাধ্য হয়েছেন। এই অবস্থায় ইলিশ ধরতে না পেয়ে হতাশ জেলারা।

সাগর থেকে ফিরে আসা জেলেরা জানান, গতকাল মঙ্গলবার রাতে সাগর ধীরে ধীরে উত্তাল হতে শুরু করে, সঙ্গে দমকা ও ঝোড়ো হাওয়া প্রবাহিত হয়। আজ বুধবার সকাল থেকে সাগরের পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। তীব্র ঢেউয়ের কারণে ট্রলার নিয়ে মাছ ধরতে গিয়ে তাঁরা খালি হাতে ফিরতে বাধ্য হন। সকাল থেকে বিকেলের মধ্যে উপকূলে কয়েক হাজার ট্রলার আশ্রয় নেয়।

বরিশাল আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়ায় দেশের চার সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত জারি করা হয়েছে। একই সঙ্গে নদীবন্দরে ১ নম্বর সতর্কসংকেতও দেওয়া হয়েছে। গত শনিবার লঘুচাপের আভাস দেওয়ার পর, গতকাল সন্ধ্যায় বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হয়।

আবহাওয়া বার্তায় বলা হয়েছে, লঘুচাপের কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চরণশীল মেঘমালা তৈরি হচ্ছে। উপকূলীয় এলাকা, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এজন্য মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে উপকূলের কাছে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে, এবং ভারী বর্ষণের সম্ভাবনাও রয়েছে।

এদিকে, গতকাল রাত থেকেই বঙ্গোপসাগর ধীরে ধীরে উত্তাল হতে শুরু করে, যা আজ সকালে তীব্র হয়ে ওঠে। এই কারণে ইলিশ শিকারে যাওয়া ট্রলারগুলো খালি হাতে বন্দরের মৎস্যঘাটে ফিরে আসে। চলতি মৌসুমে জেলেরা কাঙ্ক্ষিত ইলিশ ধরতে পারেননি এবং এখন বৈরী আবহাওয়ার কারণে হতাশ হয়ে ফিরে আসছেন।

দুপুরে বরগুনার পাথরঘাটা, পটুয়াখালীর মহিপুরসহ কয়েকটি মৎস্যবন্দরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাগরে ইলিশ শিকারে যাওয়া বেশিরভাগ ট্রলার বৈরী আবহাওয়ার কারণে বন্দরে ফিরেছে। বরগুনা সদরের নলী, তালতলী, পাথরঘাটা ও পটুয়াখালীর আলীপুর-মহিপুর মৎস্যবন্দরে ট্রলারগুলো আশ্রয় নিয়েছে। অনেক ট্রলার সুন্দরবনের ভেতরের খালগুলোতেও আশ্রয় নিয়েছে।

জেলেরা জানিয়েছেন, ইলিশ মৌসুমের শুরুতে সামুদ্রিক মাছ আহরণের ওপর ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা ছিল। পরে আবহাওয়া বৈরী হওয়ায় আশানুরূপ ইলিশ পেতে পারেননি। আগামী ১৩ অক্টোবর ইলিশের প্রজনন মৌসুম শুরু হবে, এ সময় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা থাকবে। নিষেধাজ্ঞার পর মৌসুম শেষ হবে এবং নভেম্বর থেকে ৮ মাসের জন্য জাটকা ধরার নিষেধাজ্ঞা শুরু হবে। ফলে জেলাদের জন্য আবার সাগরে নামার বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

Related News

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

সর্বশেষ

ঝলমলে আইপিএল নিলামের অন্য রূপ: কালো তালিকা, রাতারাতি কোটিপতি আর ক্ষমতা প্রদর্শন

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ললিত মোদি। ভারতীয় ক্রিকেট