দ্যা নিউ ভিশন

নভেম্বর ২৫, ২০২৪ ০১:৪৬

সিলেট বিভাগে ৩৫টি নদী সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছে।

সিলেটে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) উদ্যোগে বিশ্ব নদী দিবসে আলোচনা সভা হয়েছে। রোববার সকালে নগরের বন্দরবাজার এলাকার একটি রেস্তোরাঁ মিলনায়তনেছবি : প্রথম আলো
‘সিলেটের নদ-নদী রক্ষায় করণীয়’ শীর্ষক এই সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)। সভায় ‘টেকসই ভবিষ্যতের জন্য জলপথ’ বিষয়ক একটি উপস্থাপনা করেন বেলার সিলেট বিভাগের সমন্বয়ক শাহ সাহেদা আখতার। সভায় সভাপতিত্ব করেন আইনজীবী ইরফানুজ্জামান চৌধুরী, প্রধান অতিথি ছিলেন সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাছরিন আক্তার।
বক্তারা বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ও নদীরক্ষা কমিশনের তথ্যে অসঙ্গতি রয়েছে। নদীরক্ষা কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, বিভাগে নদ-নদী ১৬৮টি, जबकि পাউবো জানায় মাত্র ৩৬টি। অধিকাংশ নদী ব্যক্তিদের দখলে। বিশ্বনাথ উপজেলার বাসিয়া নদীর ২ কিলোমিটারে ১৮৬ জনের অবৈধ দখল রয়েছে। রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা এ দখলে জড়িত। এসব অবৈধ দখলমুক্ত করে নদী খনন করা জরুরি।
আলোচনা সভায় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পীযুষ কান্তি সরকার, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. শফিকুল ইসলাম, মৎস্য উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক সীমা রানী বিশ্বাস, পাউবোর সিলেটের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী তানভীর ইসলাম, পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেটের সহকারী পরিচালক মো. বদরুল হুদা, সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকরামুল কবির প্রমুখ বক্তব্য দেন।
বক্তারা আরও বলেন, সিলেটের ধলাই নদের সাদা পাথর ও সুনামগঞ্জের জাদুকাটা নদীতে সৌন্দর্য উপভোগ করতে পর্যটকেরা আসেন। কিন্তু বালু ও পাথর উত্তোলনের কারণে তারা তা উপভোগ করতে পারছেন না। অবৈধ দখলদার ও বালুমহালের কারণে নদীর অস্তিত্ব রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজন।
সভায় মুক্ত আলোচনা পর্বে সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এমাদ উল্লাহ, সারি বাঁচাও আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল হাই আল হাদী, সিলেট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলামসহ অন্যান্য বক্তারা অংশ নেন।
সভা থেকে সিলেটের নদ-নদী রক্ষায় করণীয় হিসেবে ছোট-বড় নদীর পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি, নদীর সীমানা নির্ধারণ, অবৈধ দখলদারদের তালিকা করে উচ্ছেদ, সিএস ম্যাপ অনুযায়ী নদীগুলো পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ, নদী খনন এবং দখল উচ্ছেদ কার্যক্রম সমন্বিতভাবে পরিচালনা করার দাবি জানানো হয়।
প্রধান অতিথি ইউএনও নাছরিন আক্তার বলেন, নদীকে জীবন্ত সত্তা বলা হয়। নদীর বিরূপ প্রভাবের কারণে সিন্ধু সভ্যতা বিলুপ্ত হয়েছে। অপরিকল্পিতভাবে বালুমহাল চালালে অনুমোদনদাতাদের দায়ভার নিতে হবে।

Related News

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

সর্বশেষ

ঝলমলে আইপিএল নিলামের অন্য রূপ: কালো তালিকা, রাতারাতি কোটিপতি আর ক্ষমতা প্রদর্শন

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ললিত মোদি। ভারতীয় ক্রিকেট