যশোরের অভয়নগর উপজেলা থেকে শুক্রবার রাতে এক প্রতিবন্ধী তরুণের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। উপজেলার জাফরপুর গ্রামের নির্মাণাধীন একটি ঘরের বারান্দায় থাকা বালুর নিচে ওই তরুণের লাশটি চাপা পড়ে ছিল। লাশ উদ্ধারের সময় একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত ছিলেন।
ওই তরুণের নাম শরিফুল ইসলাম (২০)। তিনি উপজেলার জাফরপুর গ্রামের মুজিবর রহমানের ছেলে। তিনি বুদ্ধি ও শারীরিক প্রতিবন্ধী ছিলেন।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মুজিবর রহমান পেশায় একজন রংমিস্ত্রি। তাঁর পাঁচ মেয়ে ও এক ছেলে। মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেছে। ছেলে শরিফুল ইসলাম প্রতিবন্ধী। ১২-১৩ বছর আগে মুজিবরের স্ত্রী মারা যান। এরপর তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেন। কিন্তু স্ত্রী তাঁর সঙ্গে থাকতেন না। ছেলে শরিফুল ইসলামকে নিয়ে মুজিবর বাড়িতে থাকতেন। মুজিবরই ছেলেকে দেখাশোনা ও সেবাযত্ন করতেন। সম্প্রতি মুজিবর বাড়ির সামনের কিছুটা জায়গা এক মেয়ের কাছে বিক্রি করে দেন। সেই জায়গায় মেয়ে বাড়ি নির্মাণ করছেন।
এলাকার লোকজন আরও বলেন, দুই-তিন দিন আগে মুজিবর ছেলেকে নিয়ে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে ঘরে তালা লাগিয়ে বাইরে চলে যান। শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে এলাকার একজন নারী মুজিবরের মেয়ের নির্মাণাধীন বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় পচা গন্ধ পান। বিষয়টি তিনি এলাকার কয়েক ব্যক্তিকে জানান। তাঁরা গিয়ে নির্মাণাধীন বাড়ির বারান্দায় বালু চাপা দেওয়া অবস্থায় এক ব্যক্তির হাত, পা ও লুঙ্গি দেখতে পান। এরপর তাঁরা পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে অভয়নগর থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। রাত আটটার দিকে অভয়নগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শামীম হাসানের উপস্থিতিতে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।
অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আকিকুল ইসলাম বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। ধারণা করা হচ্ছে, ওই তরুণকে হত্যা করে লাশ বালুর মধ্যে পুঁতে রাখা হয়েছিল। বৃষ্টিতে বালু সরে যাওয়ায় লাশের হাত-পা বের হয়ে যায়। এতে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।