দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের মামলায় বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই ওরফে বাচ্চু ও তাঁর পরিবারের চার সদস্যের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন আদালত। দুদকের দেওয়া অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে আবদুল হাই বাচ্চুসহ পলাতক পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালত এই আদেশ দেন।
ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মীর আহমেদ আলী সালাম।
পিপি মীর আহমেদ আলী সালাম প্রথম আলোকে বলেন, মানি লন্ডারিং অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে আবদুল হাই ওরফে বাচ্চু, তাঁর স্ত্রী শিরিন আক্তার, আবদুল হাইয়ের ভাই শেখ শাহরিয়ার ওরফে পান্না, আবদুল হাইয়ের মেয়ে শেখ রাফা হাই, ছেলে শেখ ছাবিদ হাই ও দলিলদাতা আমিন আহমেদের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের ২ অক্টোবর মামলাটি করে দুদক। মামলায় বলা হয়, আবদুল হাই নিজ নামে এবং তাঁর স্ত্রী ও ছেলেমেয়ের নামে ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট বাজার এলাকায় ৩০ কাঠার মতো জমি কিনেছিলেন। জমির প্রকৃত দাম ছিল ১১০ কোটি টাকা। যদিও তিনি দর দেখান মাত্র ১৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা। জমির দাম কম দেখিয়ে ৯৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা মানি লন্ডারিং করা হয়েছে, যা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী অপরাধ।
পিপি মীর আহমেদ আলী সালাম আরও বলেন, এই মামলায় গত বছরের ২ অক্টোবর আবদুল হাই, আমিন আহমেদসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক। এর মধ্যে আমিন আহমেদ জামিনে আছেন। এ ছাড়া আবদুল হাই ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছেন। আদালত দুদকের দেওয়া অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে পলাতক আবদুল হাইসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন।
এর আগে গত বছরের ১৫ নভেম্বর বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারির ঘটনায় জড়িত শেখ আবদুল হাই ওরফে বাচ্চু ও তাঁর পরিবারের চার সদস্যের সম্পদ জব্দের (ক্রোক) আদেশ দেন ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত।