দ্যা নিউ ভিশন

নভেম্বর ২৫, ২০২৪ ০৮:০৭

সাতক্ষীরায় ১০ বছর আগে হত্যার ঘটনায় সাবেক এসপিসহ ৩৫ জনের নামে মামলা

মামলা। প্রতীকী ছবি

১০ বছর আগে বাড়ি থেকে তুলে এনে এক গ্রাম্য মাতবরকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে সাতক্ষীরার তৎকালীন পুলিশ সুপারসহ ৩৫ জনের নামে মামলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার নিহতের ভাই ইসরাইল মোড়ল বাদী হয়ে সাতক্ষীরার আমলি প্রথম আদালতে এ মামলার আবেদন করেন।

আজ বুধবার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নয়ন বড়াল আবেদনটি এজাহার হিসেবে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী জিয়াউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গুলিতে নিহত গ্রাম্য মাতবরের নাম ইসলাম মোড়ল (৫৮)। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙা ইউনিয়নের পাথরঘাট গ্রাম থেকে ২০১৪ সালের ১৩ জুন তুলে এনে তাঁকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ রয়েছে। মামলায় সাতক্ষীরার তৎকালীন পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর, সাতক্ষীরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ফিরোজ আহম্মেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম, সাতক্ষীরা জজ কোর্টের সরকারি কৌঁসুলি আবদুল লতিফসহ ৩৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ২০ জনকে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙা ইউনিয়নের পাথরঘাটা গ্রামের একব্বর মোড়লের ছেলে ইসলাম মোড়ল একজন মাছ ব্যবসায়ী। বিচার–সালিসে তাঁর এলাকায় প্রচুর সুনাম ছিল। এ সুনাম সহ্য করতে পারত না স্থানীয় একটি মহল। এরই ধারাবাহিকতায় আসামি আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা ২০১৪ সালের ১০ জুন সন্ধ্যা ছয়টার দিকে সাবেক সংসদ সদস্য ফিরোজ আহম্মেদের বাড়িতে এক জরুরি বৈঠক করেন। বৈঠকে ইসলাম মোড়লকে হত্যার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়। পুলিশসহ সব আসামি ২০১৪ সালের ১২ জুন দিবাগত রাত একটার দিকে বাদীর বাড়ি ঘিরে ফেলেন। ডাকাডাকির একপর্যায়ে ইসলাম মোড়ল ঘরের বাইরে এলে কয়েকজন আসামি তাঁকে জাপটে ধরে উঠানে নামান। কয়েকজন আসামি তাঁকে মারপিট করে পুলিশের পিকআপে তুলে দেন। পরে কয়েকজন আসামি পুলিশ পিকআপে উঠে ইসলামের চোখ বেঁধে ফেলেন।

পুলিশের ভ্যানটি সাতক্ষীরার দিকে চলতে থাকলে বাদীসহ চারজন সাক্ষী দুটি মোটরসাইকেলে করে পুলিশ পিকআপের পেছনে পেছনে যেতে থাকেন। মাধবকাটি পৌঁছানোর পর পুলিশ বাদীসহ চারজনকে সামনে যেতে নিষেধ করে। মাধবকাটি থেকে সাতক্ষীরার দিকে আনুমানিক ৩০০ হাত যাওয়ার পর ছয়ঘরিয়া নামক স্থানে পুলিশ পিকআপটি থেমে যায়। সেখানে দুটি গুলির শব্দ শুনতে পান বাদী ও তিনজন সাক্ষী। বাদী পরে সেখানে গিয়ে রাস্তার ওপর টাটকা রক্তের ছাপ দেখতে পান। ইসলামের মরদেহ পুলিশ পিকআপে তুলে সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরদিন সকালে বাদীসহ অনেকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে এসে ইসলাম মোড়লের মরদেহ দেখতে পান। ইসলাম মোড়লের বুকে দুটি গুলির ক্ষত ছিল। সদর হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে ইসলাম মোড়লের লাশ গ্রাম পুলিশ কামরুল দফাদারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

Related News

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

সর্বশেষ

ঝলমলে আইপিএল নিলামের অন্য রূপ: কালো তালিকা, রাতারাতি কোটিপতি আর ক্ষমতা প্রদর্শন

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ললিত মোদি। ভারতীয় ক্রিকেট