যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) অ্যাসিস্ট্যান্ট লিগ্যাল অ্যাটাশে রবার্ট ক্যামেরুন ও পুলিশ লিয়াজোঁ স্পেশালিস্ট মুহাম্মদ আমিনুল ইসলামের সমন্বয়ে একটি প্রতিনিধিদল দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে করেছে।
সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দুদকের মানি লন্ডারিং বিভাগের মহাপরিচালক মোকাম্মেল হক, পরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী ও আবদুল্লাহ-আল-জাহিদ। পরে দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন বৈঠকের বিষয়বস্তু সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন।
দুদক সচিব বলেন, এফবিআইয়ের দুই সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল দুদকে এসেছে। এটি একধরনের সৌজন্য সাক্ষাৎ। এই সাক্ষাতে দুদকের মানি লন্ডারিং শাখার মহাপরিচালকের সভাপতিত্বে একটি সভা হয়। সেখানে দুর্নীতি দমন কমিশন কীভাবে কাজ করে, তদন্তপ্রক্রিয়া, তথ্যানুসন্ধান, গোয়েন্দা কার্যক্রম এসব বিষয় তাঁরা জানতে চেয়েছেন। দুদকের বিভিন্ন উইংয়ের মাধ্যমে যেসব কার্যক্রম পরিচালিত হয়, সেসব তথ্য তাঁরা জানতে চেয়েছেন। এসব তথ্য সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে তাঁদের জানানো হয়েছে। কোনো ক্ষেত্রে সহযোগিতার প্রয়োজন হলে পাওয়া যাবে বলেও তাঁরা জানিয়েছেন।
পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনতে অন্তর্বর্তী সরকার নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে। দুদক এ বিষয়ে এফবিআইয়ের সহযোগিতা নেবে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে খোরশেদা ইয়াসমীন বলেন, অর্থ পাচার বিষয়টি দুদকের নতুন ইস্যু নয়। সব সময়ই অর্থ পাচার বিষয়ে দুদকের কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। বর্তমান পরিস্থতিতে এ ধরনের কার্যক্রমে যদি কোনো সহযোগিতার প্রয়োজন হয়, নিশ্চয় দুর্নীতি দমন কমিশন সেই সহায়তা নেবে।
বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে দুদক সচিব বলেন, পাচারকৃত টাকা উদ্ধার করা নিয়ে দুদকের একটা শাখা আছে। সে বিষয়ে কার্যক্রম চলছে। প্রয়োজন হলে সেটি আরও জোরদার করা হবে।