টেকনাফের নাফ নদীর তীরের প্যারাবনে কেওড়া ফল আনতে গিয়েছিল দুই ভাই মোহাম্মদ উসমান (৮) ও মোহাম্মদ জিহাদ (৬)। বাড়িতে বলে গিয়েছিল, তারা দুপুরের পর বাড়িতে ফিরে আসবে। তবে বিকেল পেরিয়ে গেলেও খোঁজ মেলেনি দুই ভাইয়ের। পরে এলাকাবাসীর খোঁজাখুঁজির পর প্যারাবন থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে।
আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলার নাফ নদীর তীরের প্যারাবন থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত দুজন হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আবুল হোসেনের দুই ছেলে। স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশের ধারণা, সাঁতার না জানার কারণে জোয়ারের পানিতে ডুবে দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে।
দুই শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারী। তিনি বলেন, দুপুরের দিকে তাঁরা দুই ভাই নাফ নদীর হ্নীলার কেওড়াবাগানে কেওড়া ফল আনতে যায়। বিকেলে ওই এলাকায় খোঁজাখুঁজি করলে ৩০-৪০ ফুট ব্যবধানে দুই শিশুর লাশ পড়ে থাকতে দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। পরে তারা লাশ দুটি উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন।
পরিবারের লোকজনের ধারণা, জোয়ারের পানিতে ডুবে তারা দুজনের মৃত্যু হয়েছে। দুই ভাইয়ের কেউ সাঁতার জানতো না। দুই ভাই এর আগে আরেকবার কেওড়া আনতে গিয়েছিল।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গণি বলেন, নাফ নদীর প্যারাবনে থেকে দুটি শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তারা দুজন আপন ভাই বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।